লন্ডনে ক্ষুব্ধ তারেকের সাক্ষাৎ পাননি শমসের : নেপথ্যে বিএনপির কমিটি
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান সহ দলের জ্যেষ্ঠ তিন নেতা লন্ডনে গিয়ে বারবার চেষ্টা করেও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেননি । ফলে তারেক রহমানের সাথে দেখা না করেই তারা দেশে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন। বিএনপির লন্ডন শাখার দায়িত্বশীল একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারেক রহমানের সাথে দেখা করে সিলেটের ছাত্রদল ও মহানগর কমিটি নিয়ে অসন্তোষ এবং জেলা বিএনপির কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা নিয়ে আলোচনা করার কথা ছিল শমসের মবিনের।
শমসের মবিন ছাড়াও তারেকের সাক্ষাৎ প্রার্থী নেতাদের মধ্যে ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা ও ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুম। লন্ডন বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ইংল্যান্ডে অবস্থানরত তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাদেক হোসেন খোকা লন্ডনে যান। এরপর সেখানে তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বেশ জোরেশোরে চেষ্টা চালান তিনি। কিন্তু তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নি তারেক।
সূত্র বলছে, এক পর্যায়ে ব্যর্থ হয়ে খোকা গত পরশুদিন (মঙ্গলবার-২৫ নভেম্বর) ঢাকা থেকে এমএ কাইয়ুমকে লন্ডনে ডেকে পাঠান। বর্তমানে তিনিও লন্ডনে অবস্থান করছেন। তবে শত চেষ্টা করেও তারা ‘অভিমানী’ তারেকের সাক্ষাৎ পাননি বলে বিএনপির লন্ডন ও ঢাকার একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে শুধু খোকাই নন। লন্ডনে অবস্থান করে বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়েও তারেকের সঙ্গে সাক্ষাতে ব্যর্থ হয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরীও। সূত্র জানায়, তারেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ব্যর্থ হয়ে শমসের মোবিন চৌধুরী ঢাকা ফিরছেন।
সূত্র দাবি করছে, গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকানোর আন্দোলনে বিএনপির ঢাকা মহানগর কমিটি ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। আর এতেই খোকার ওপর বেশ ক্ষুব্দ হয়ে আছেন তারেক। শুধু খোকা নয়, এ ঘটনায় ঢাকা মহানগরীর বেশ কয়েকজন নেতার ওপর ক্ষুব্দ রয়েছেন তারেক রহমান। আর এ কারণেই খোকার শত চেষ্টাতেও তারেকের সাক্ষাৎ মেলেনি।
এদিকে কূটনীতিকদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরী। এ কারণে তার ওপরও ক্ষুব্দ হয়ে আছেন তারেক রহমান। আর এসব কারণেই বেশ কয়েকদিন চেষ্টা করেও তিনি তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেননি বলে দাবি করছে সূত্র।