তাহিরপুরের টেকেরঘাটে কলেজ ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে এক যুবককে ৬ মাসের কারাদন্ড
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে কলেজ ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে এক যুবককে ভ্রাম্যমান আদালত ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ডের রায় প্রদান করেছেন। দন্ডপ্রাপ্ত যুবকের নাম মো.আসাদুজ্জামান রুবেল। সে উপজেলার টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্পের প্রয়াত কর্মকর্তা মকবুল হোসেনের ছেলে এবং টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এ্যান্ড কলেজের সহকারি শিক্ষক মোস্তফা জামানের ছোট ভাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্পের প্রয়াত এক শ্রমিকের কলেজ
পড়–য়া শিক্ষার্থীকে তার পিতার মৃত্যুর পর পরই বখাটে রুবেল গত এক বছরেরও বেশী সময় ধরে নানা ভাবে উক্তপ্ত করতে থাকে। ইতিপুর্বে ঐ কলেজ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে গিয়ে বিভিন্ন মুঠোফোনে রুবেল ভুয়া এসএমএস পাঠিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াতে থাকে। কোন ভাবেই বশে আনতে না পেরে রুবেল মঙ্গলবার বিকেলে ঐ শিক্ষার্থীর বাসায় প্রবেশ করে প্রতিবেশীদের উপস্থিতিতে তাকে শারিরীক ভাবে মারধোর করে। এক পর্যায়ে নিরুপায় হয়ে বখাটে রুবেলের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেনের নিকট ঐ শিক্ষার্থীর বয়োবৃদ্ধ বিধবা মা বুধবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে পুলিশ রাতেই রুবেলকে নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে। টেকেরঘাট প্রকল্পে অবস্থানরত টাঙ্গুয়ার হাওরের নিরাপক্তা কাজের তদারকিতে থাকা কর্তব্যরত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট একে,এম আব্দুল্লাহ বিন রশীদের ভ্রাম্যমান আদালতে রুবেলকে হাজির করলে আদালত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিক্তিত্বে তার অপরাধ প্রমাণিত হলে গতকাল বৃহস্পতিবার তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড এছাড়াও অনাদায়ে অতিরিক্ত এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডের রায় প্রদান করেন। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, ইতিপুর্বে বখাটে রুবেলের যৌনহয়রানীর মুখে টেকেরঘাট ও বড়ছড়ার আরো দুই কলেজ শিক্ষার্থীকে তাদের পরিবারের অভিবাবকগণ কলেজে লেখাপড়া বন্ধ করে দিয়ে তরিগড়ি করে অন্যত্র বিয়ে দিতে বাধ্য হন। রুবেলের এসব অপকর্ম ও একাধিক কলেজ ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর বিষয়টি রাতেই এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক শেখ মো. রফিকুল ইসলামকে অবহিত করেন।