জেলা প্রশাসক‘র হস্তক্ষেপে ১২দিন পর বিছনাকান্দি পাথর কোয়ারীর রয়েলিটি আদায় সমস্যা নিরসন
খনিজ সম্পদে ভরপুর গোয়াইনঘাট : রয়েছে অনেক সমস্যা
দূর্গেশ চন্দ্র সরকার (বাপ্পী) গোয়াইনঘাট (সিলেট) থেকেঃ গোয়াইনঘাট থেকেঃ গোয়াইনঘাটে রয়েছে খনিজ সম্পদে ভরপুর তেমনি রয়েছে নানান সমস্যা দেশের বৃহত্তম বিছনাকান্দি পাথর কোয়ারীতে অতিরিক্ত রয়েলিটি আদায় কে কেন্দ্র করে ১২দিন ধরে সৃষ্ট সমস্যা সিলেট ৪-আসনের সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ ও জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলাম‘র হস্তক্ষেপে নিরসন হয়েছে। গোয়াইনঘাট উপজেলা ছাত্রলীগ‘র সাবেক সম্পাদক তরুন আওয়ামীলীগ নেতা কামরুল হাসান ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের নিয়ে সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ এর সাথে যোগাযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে ইমরান আহমদ সিলেট জেলা প্রশাসকের সাথে আলাপ করে পুর্বের হারে রয়েলিটি প্রদান করতে উভয় পক্ষকে সম্মত করেন এবং গতকাল বুধবার আনুষ্টানিক ভাবে পাথর সরবরাহ শুরু হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগ‘র সাবেক সম্পাদক তরুন আওয়ামীলীগ নেতা কামরুল হাসান, বিছনাকান্দি পাথর সাপ্লাইয়ার সমবায় সমিতির সভাপতি গোলাম হোসেন, সমিতির নেতা আব্দুল কাদির সুমন, শহিন, শামিম, বেলাল,খালিক, হোসেন, জমশিদ, মতিলাল, মুজিব, জসিম, কামাল। অপরদিকে প্রশাসনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন…. । উল্লেখ্য বিছনাকান্দি পাথর কোয়ারীর খাস কলেকশন দীর্ঘ দিন যাবৎ স্থানীয় সরকার দলীয় লোকজন ভোগ করে আসছিলেন, কিন্তু চলতি মাস থেকে প্রশাসনের উদ্যোগে খাস কালেকশন আদায় শুরু হয়। পূর্বে স্থানীয় পাথর সাপ্লাইয়াররা গাড়ী প্রতি দুই শত টাকা হারে রয়েলিটি প্রদান করতেন। কিন্তু বর্তমানে প্রশাসন নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় সাপ্লাইয়াররা গাড়ী প্রতি প্রায় চার পাচ শত টাকা রয়েলিটি দিয়ে পাথর সরবরাহ করতে হয়। ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কায় পূর্বের ন্যায় রয়েলিটি প্রদান করতে আগ্রহী। তাই অতিরিক্ত রয়েলিটি বন্ধের দাবীতে ১০দিন যাবৎ সকল প্রকার পাথর সরবরাহ বন্ধ রাখেন। জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম জানান ইজারা বর্হিভুত খাষ আদায়ের দায়িত্ব জেলা প্রশাসক মহোদয়ের উপর ন্যস্ত। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের পক্ষে সংশ্লিষ্ট উপজেলা ও ইউনিয়ন ভুমি অফিসের কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ আদায় করে থাকেন। ইতিপুর্বে সহকারী কমিশনার ভুমি পদ শন্য থাকায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট‘র তত্বাবধায়নে খাষ আদায় হয়ে থাকে। জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলাম‘র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ‘র অনুরোধে সরকারী রাজস্ব ও শ্রমিক কথা বিবেচনা করে ছোটগাড়ী ২শতটাকা হারে এবং বড় গাড়ী ২শত ৫০টাকা হারে রয়েলিটি নির্ধারন করা হয়।তিনি আরও জানান বুধবার থেকে যথারীতি পাথরবাহী গাড়ী চলাচল শুরু হয়েছে।