শাবিতে আধিপত্যের লড়াইয়ে গুলিবিদ্ধ ছাত্রের মৃত্যু ; প্রক্টরও গুলিবিদ্ধ

sumon sustসুরমা টাইমস ডেস্কঃ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও হলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিমাদ্রি শেখর রায়সহ আরো অন্তত ছয় জন গুলিবিদ্ধসহ ১২ জন আহত হয়েছে। গলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ছাত্রের নাম সুমন। নিহত সুমন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র বলে জানিয়েছে হাসপাতাল সূত্র। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সুমনকে সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসারত অবস্থায় সে মারা যায়। গুলিবিদ্ধ আরো কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ক্যাম্পসে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।যে কোনো সময় এই চাপা উত্তেজনা বিস্ফোরণে রুপ নিতে পারে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রকাশ্যে ক্যাম্পাসের দখল নিতে গেলে ছাত্রলীগ সভাপতি সঞ্জিবন চক্রবর্তী ও সহসভাপতি অঞ্জন রায় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষর পর এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এ সময় দফায় দফায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢোকার পরও সংঘর্ষ চলে।পুলিশের সামনেই ধারালো অস্ত্র হাতে ছাত্রলীগের বিবদমান পক্ষদুটির ক্যাডাররা একে অপরকে ধাওয়া করে।বলতে গেলে পুলিশ এ সময় নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেন।এ সময় অন্তত তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে এবং তাদেরকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষের সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ক্যাম্পাসে শুরু হয় ছুটাছুটি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন শাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সঞ্জিবন চক্রবর্তীর সমর্থকরা। এ সময় ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণে থাকা সহসভাপতি অঞ্জন রায় ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য উত্তম কুমার দাশের সমর্থকরা তাদের বাধা দিলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এ সময় শাহপরাণ ও দ্বিতীয় ছাত্রহলের ভিতরে কমপক্ষে ২০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বর্তমানে উভয় গ্রুপের সমর্থকরা সশস্ত্র অবস্থায় ক্যাম্পাসে মহড়া দিচ্ছেন। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে দিগ্বিদিক ছুটাছুটি করতে থাকেন নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, গেল বছর ৮ মে সঞ্জিবন চক্রবর্তীকে সভাপতি ও ইমরান খানকে সাধারণ সম্পাদক করে শাবি শাখা ছাত্রলীগ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু কমিটি ঘোষণা করা হলেও অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে সঞ্জিবন চক্রবর্তী ও তার সমর্থকরা এতদিন ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেনি। ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণে ছিল সহসভাপতি অঞ্জন রায় ও উত্তম কুমার দাশ ও তাদের সমর্থকদের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এদিন সকালে সঞ্জিবন চক্রবর্তী ও তার সমর্থরা নিয়ন্ত্রণ নিতে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ প্রতিবেদন লেখার সময় সংঘর্ষ চলছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিমাদ্রি শেখর রায় জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।