জিলু হত্যা মামলার আসামীদের জামিন নিয়ে ধূম্রজাল!
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেট মহানগর ছাত্রদল নেতা জিল্লুল হক জিলু হত্যা মামলায় আসামীদের উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তারা যে প্রেস বার্তা প্রেরণ করেছিলেন তাতে তারা মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন বলে ছাত্রদলের একটি অংশের দাবি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মামলার আসামী জামিনপ্রাপ্ত ছাত্রদল নেতারা উল্লেখ করেন জিলু হত্যা মামলায় আদালত দুইমাসের জন্য ৮ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন। এ সংক্রান্ত সংবাদ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা ও নিউজ পোর্টালেও প্রকাশ হয়। কিন্তু জামিন শুনানীতে অংশ নেয়া এডভোকেট সাহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত আদালতের আদেশের এক সার্টিফাইড কপিতে ৬ জনের জামিন মঞ্জুরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এডভোকেট সাহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত সার্টিফাইড কপিতে উল্লেখিত জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- সিলেট নগরীর বনকলাপাড়ার আব্দুল মুক্তাদিরের ছেলে ইমাদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ওরফে ডাইল ইমাদ, খাসদবির এলাকার কুতুব উদ্দিনের ছেলে সালেহ আহমদ, সুবিদবাজার এলাকার বাসিন্দা মতিউর রহমানের ছেলে মনোয়ার হোসাইন মঞ্জু, খাসদবির এলাকার বাসিন্দা মুনতাজির আলীর ছেলে হেলাল আহমেদ ওরফে কুলি হেলাল, কুমারপাড়া এলাকার বাসিন্দা ফেরদৌস চৌধুরীর ছেলে আরাফাত চৌধুরী জাকির ও সিলেটে কতোয়ালী থানাধীন শ্রাবণী এলাকার ওয়ারিছ মিয়ার ছেলে নেছার আলম শামীম। এদের মধ্যে মনোয়ার হোসাইন মঞ্জু ছাত্রলীগ ও বাকি সবাই ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।
বিচারপতি সৈয়দ এবি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরীর গঠিত বেঞ্চ থেকে তারা ৪ সপ্তাহের জন্য জামিন লাভ করেন। কিন্তু গণমাধ্যমে ছাত্রদল প্রেরিত প্রেস বার্তায় এই জামিনের মেয়াদ দুইমাস বলে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া ওই প্রেসবার্তায় ছাত্রদল মদন মোহন কলেজ শাখার সভাপতি কাজী মেরাজ, ১নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জামাল আহমদ খান জামিন পেয়েছেন বলে দাবি করলেও এডভোকেট সাহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত সার্টিফাইড কপিতে তদের নাম দেখা যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুন নগরীর পাঠানটুলায় অভ্যন্তরিণ কোন্দলের জের ধরে নিজ দলের ক্যাডারদের হামলায় নিহত হন ছাত্রদল নেতা জিল্লুল হক জিলু।