রোকশানা হত্যা মামলা : বিশ্বনাথে আসামিদের রক্ষায় পুলিশ তৎপর : বাদিকে হয়রানির অভিযোগ

শাহ তোফাজ্জুল হোসেন ভান্ডারী, বিশ্বনাথ প্রতিনিধিঃ সিলেটের বিশ্বনাথে সংঘর্ষের ঘটনায় ১০মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধু রোকশানা হত্যা মামলার কোন আসামিকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। মামলা দায়েরের পর ৮দিন অতিবাহিত হলেও আসামি গ্রেফতার করতে পুলিশের কোন ইচ্ছে নেই। উল্টো আসামিদের রক্ষায় তৎপর হয়ে ওঠেছে পুলিশ। ওই মামলায় হাজী আনোয়ার মিয়া নামের একজন সরকার দলীয় আ’লীগ নেতা আসামি হওয়ায় গ্রেফতার না করতে পুলিশ নানা তালবাহানা করছে। মুলত এই নেতার ইন্দন ও পরিকল্পনায় ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সুযোগে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে হত্যাকান্ড ও মামলার মোটিভ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার সম্বাভনা রয়েছে। উল্টো বাদি পক্ষের বিরুদ্ধে আসামি পক্ষের পাল্টা মামলা নিয়ে পুলিশি হয়রানি করছে। এমন অভিযোগ রোকশানা হত্যা মামলার বাদি ছাদিকুর রহমান ফুর আলী’র। হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার না করে পুলিশ উল্টো বাদি পক্ষের বিরুদ্ধে হয়রানি মুলক মামলা নেয়ায় জনমনে নানা রহস্য দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২২অক্টোবর রাতে চাঁষকৃত জমির ধান নষ্ট করা নিয়ে উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের দশঘর গ্রামের ছাদিকুর রহমান ফুর আলী ও নুর আলী গংদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় আহত হন উভয় পক্ষের প্রায় ১৪জন। ওই সঘের্ষের সময় স্বামী মতিউর’কে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে তার কাছে এগিয়ে যান ফুর আলী’র পুত্রবধু ১০মাসের অন্তঃসত্ত্বা রুকশানা বেগম (২০)। স্বামীকে জড়িয়ে ধরতে গিয়ে তিনি গুরুতর আহত হয়ে পড়েন। আহত অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত্যু ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় পরদিন ২৩ অক্টোবর ফুর আলী বাদি হয়ে নুর আলী’সহ ১৪জনকে আসামি করে বিশ্বনাথ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৬। বাদি ফুর আলী’র অভিযোগ, থানায় দেখা করে উৎকোচ না দেয়ায় তার মামলার কোন আসামিকে গ্রেফতার করতে পুলিশ নারাজ। তিনি মামলা দায়েরের পর তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই দেলোয়ার হোসেন মাত্র একদিন ঘটনা স্থলে যান। ফেরার সময় বাদি ফুর আলীকে থানায় গিয়ে দেখা করতে বলেন। তিনি থানায় গিয়ে দেখা না করায় রহস্যজনক ভাবে তদন্তকারি কর্মকর্তা ছুটিতে চলে যান। কিন্তু এর ভেতরে ২৭অক্টোবর ওই হত্যা মামলার আসামি নুর আলী বাদি হয়ে ফুর আলীসহ ১৯জনের বিরুদ্ধে থানায় পাল্টা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৯। পাল্টা মামলা নিয়ে আসামি গ্রেফতার করতে বেশ তৎপর হয়ে ওঠেছে পুলিশ। কিন্তু বুধবার আদালত থেকে ওই হয়রানি মুলক পাল্টা মামলার জামিন নিয়ে আসেন ফুর আলী গংদের ১৪জন।