কোটিপতির স্বপ্নে বিভোর সুনামগঞ্জ রেজিষ্ট্রার সাহিদুজ্জামান
লাগামহীন ঘুষ বাণিজ্যের আয়ে নামে বেনামে সম্পদের পাহাড় – প্রতি দলিলে রেজিষ্ট্রার নেন ৮০ টাকা
ছ’মাস পর পরিদর্শনে গেলে পুন:রায় তাকে দিতে হচ্ছে এক থেকে দেড়লাখ টাকা
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জ রেজিষ্ট্রার ও সাব রেজিষ্ট্রারের অফিস এখন ঘুষের স্বর্গ রাজ্যে পরিণত হয়েছে। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে এখানে ইচ্ছেমতো দলিল সম্পাদন হয়ে থাকে। মামলা করেও তাদের লাগাম টানা যাচ্ছেনা। সাধারণ মানুষ জমি ক্রয় বিক্রয় করতে গিয়ে নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। জাল দলিলের মাধ্যমে কে কখন কার জমি দখল করে সেই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন সুনামগঞ্জের মানুষ।
সাব-রেজিষ্ট্রী অফিস গুলোতে ঘুষ দুর্নীতি অনিয়ম আর রাজস্ক ফাঁকি দেয়ার ঘটনা যতবেশী সুনামগঞ্জ জেলা রেজিষ্ট্রারের উপরী আয়ও তত বেশী। জেলার বিভিন্ন উপজেলার সাব-রেজিষ্ট্রারগণ কিছু অসাধু দলিল লেখক, অফিস সহকারি, মোহরার, নকলকারকদের সহায়তায় ভুমির শ্রেণী পরিবর্তন, জালপর্চা, ছবি পরিবর্তন, নাবালকের দলিল সম্পাদন, দলিলে ঘষামাজা, জন্ম নিবন্ধন সনদবিহীন দলিল সম্পাদনের জন্য আদায় করা হয় মোটা অংকের অর্থ। বিভিন্ন হারে আদায় করা ঘুষের টাকার একটা বড় অংশই পাচ্ছেন জেলা রেজিষ্ট্রার। বাড়তি আয় হিসাবে এসএসসির জাল সার্টিফিকেটধারী দলিল লেখক আর বিভিন্ন অনিয়মে জড়িত অফিসের ষ্টাপ ও সাব-রেজিষ্ট্রারদের কাছ থেকেও রফাদফার মাধ্যমে ঘটনা ধামাচাঁপা দিয়েও প্রতিমাসে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন রেজিষ্ট্রার।
এক লন্ডন প্রবাসী মহিলার স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে মোটা অংকের ঘুষ পেয়ে নন এনকামব্রেন্স সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য জেলা রেজিষ্ট্রার খন্দকার সাহিদুজ্জামান গংদের বিরুদ্ধে গত সেপ্টেম্বর মাসে সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে দুর্নীতির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পরও জেলা রেজিষ্ট্রারের সীমাহীন দুর্নীতি আর ঘুষ বাণিজ্যের লাগাম টেনে ধরার কেউ নেই। জেলা রেজিষ্ট্রার খন্দকার সাহিদুজ্জামান যেমন দু’হাতে উপরি কামাই করেন তেমনি দু’হাতে তার আশেপাশে ও উপর মহলেও কাড়ি কাড়ি টাকা ছড়ান।
জেলা সদর, বিশ্বম্ভরপুর, দিরাই, শাল্লা, জগন্নাথপুর, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, ছাতক, দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ ও ধর্মপাশা উপজেলার বাদশাগঞ্জসহ ১১টি সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসে দলিল সম্পাদনের ক্ষেত্রে অনিয়মকে পুজি করে বিভিন্ন হারে রমরমা ঘুষ বাণিজ্য চলছে।
দলিল দাতা ও গ্রহীতার জন্ম নিবন্ধন সনদ না থাকলে উভয়ের জন্য ৫’শ টাকা করে, নামজারীর কাগজপত্র না থাকলে ২ হাজার টাকা, ভুয়া পর্চায় ১ হাজার টাকা, দাগ নং ভুল হলে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা, জমির শ্রেণী পরিবর্তন করা হলে ২০ হাজার টাকা, কমিশন দলিলে ১০ হাজার টাকা, নাবালকের দলিলে ৫ হাজার টাকা, দানপত্র দলিলে ১০ হাজার টাকা, হেবা দলিলে ২০ হাজার টাকা, খাজনার রশীদ না থাকলে ২ হাজার টাকা, নকল তুলতে ৫’শ টাকা, অফিস বন্ধের দিন দলিল করলে ৫ হাজার টাকা করে অতিরিক্ত ঘুষ নিয়েও দলিল সম্পাদনের ঘটনা সাব-রেজিষ্ট্রী অফিস গুলোতে অহরহ ঘটছে।
রেজিষ্ট্রার অফিসে কর্মরত সংশ্লিস্টদের সুত্রে জানা যায়, জেলা রেজিষ্ট্রার আর সাব-রেজিষ্ট্রারগণ যেমন লাখ লাখ টাকা খরচ করে বদলী হয়ে আসেন তখন পুন:রায় বদলী বা ডিও উক্তীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত নিয়ম অনিয়ম আর ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে কাড়ি কাড়ি টাকা কামাই করে নেন। বিষয়টা এরকম দাড়িয়েছে যে উনারা টাকা দিয়ে বদলী হয়ে আসেন বিনিময়ে একেক জন টাকা আর সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলেন।
দলিল সম্পাদনে জমির শ্রেণী ভেদে সুনামগঞ্জ জেলায় পৌর এলাকা ও মফস্বল এলাকায় ভাগ করে জমির বাজার মুল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সাব-রেজিষ্ট্রার স্বীকার করেছেন, জেলার প্রতিটি সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসে সম্পাদিত প্রতিটি দলিলের জন্য উৎকোচ হিসাবে রেজিষ্ট্রার সাহিদুজ্জামানকে অতিরিক্ত দিতে হয় ৮০ টাকা করে। একই দলিল গুলোর উপর ছ’মাস পর পর সাব-রেজিষ্ট্রী অফিস গুলোতে পরিদর্শনে গেলে সেখানে পুন:রায় তাকে দিতে হচ্ছে এক থেকে দেড়লাখ টাকা নেন । শুধু টাকা নয় মাছ মাংস চিকন চাউল দিয়ে ভুরিভোজে আপ্যায়ন করার পর বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য ভালো বড় মাছ, অতিথি পাখিও কিনে দিতে হচ্ছে রেজিষ্ট্রারকে। পরিদর্শন কাজে সঙ্গী হয়ে যাওয়া সদর সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসের কোটিপতি মোহরার শ্যামা পদ সরকারকেও খুশী রাখতে গিয়ে রেজিষ্ট্রারের নির্দেশ মত ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। দুর্নীতির দায়ে মোহরার এই শ্যামাপদ সরকারকে শাল্লায় শাস্তিমুলক বদলী করা হলেও দিন কয়েক যেতে না যেতেই রেজিষ্ট্রার সাহিদুজ্জামান সুনামগঞ্জ বদলী হয়ে আসার পরপরই পুন:রায় জেলা সদরে বদলী হয়ে চলে আসে। অফিস পাড়ায় জনশ্রুতি রয়েছে রেজিষ্ট্রার নগদ টাকা আর শ্যামাপদ সরকার ছাড়া আর কোন কিছুই বুঝেন না। প্রত্যেক সাব-রেজিষ্ট্রারকে রেজিষ্ট্রার অফিসের প্রধান অফিস সহকারিকে প্রতিমাসে ২ হাজার টাকা করে উৎকোচ দিতে হয়।
অভিযোগ রয়েছে , প্রতিটি কমিশন দলিল বাবত অতিরিক্ত ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা ঘুষ নেন রেজিষ্ট্রার, নন এনকামব্রেন্স সার্টিফিকেট জন্য ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা, সব ক’টি সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসে সরকারি ভলিয়ম, কাগজপত্র, ষ্টেশনারী সরবরাহে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন। এসবের বাহিরে বেশ ক’জন দলিল লেখকদের লাইসেন্স বাবত প্রত্যেকের নিকট থেকে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছেন। দিরাই সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসের ৬ জন দলিল লেখকের জাল এসএসসি পাসের সনদের বিষয়ে প্রমাণিত হলে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব রেজিষ্ট্রেশন তাদের লাইসেন্স বাতিল করেন কিন্তু জেলা রেজিষ্ট্রার প্রত্যেকর নিকট থেকে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা করে ঘুষ নিয়ে বিষয়টি ধামাচাঁপা দিয়ে রেখেছেন দিব্যি ঐ সকল দলিল লেখকের ৪ জন তাদের দলিল লেখার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এক্সষ্ট্রা মোহরার থেকে মোহরার পদে পদোন্নতির জন্য বেশ ক’জনের নিকট থেকে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা ঘুষ আদায় করেছেন রেজিষ্ট্রার। জামালগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে দলিলে কলমজাদা (ঘষামাজা)’র অভিযোগে এক অফিস সহকারিকে সাময়িক বরখাস্ত করার পর তার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করিয়ে নেন রেজিষ্ট্রার। জেলার যে সকল উপজেলায় সাব-রেজিষ্ট্রারের পদ শুন্য রয়েছে সেখানে কেউ অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে গেলে প্রথমে রেজিষ্ট্রারকে কমপক্ষে ৫০ হাজার পরবর্তীতে প্রতি সপ্তাহে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হচ্ছে। এমনি ভাবে রফদফার মাধ্যমে তাহিরপুরের সাব-রেজিষ্ট্রার মুজিবুর রহমান অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছেন জামালগঞ্জে, দিরাইয়ের সাব-রেজিষ্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামাল দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও বিশ্বম্ভরপুরে এবং দোয়ারাাজারের সাব-রেজিষ্ট্রার আব্দুল কাদের ধর্মপাশা উপজেলার বাদশাগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অন্যদিকে রেজিষ্ট্রারের বদন্যতায় শিল্পনগরী ও প্রবাসী অধূষ্যিত ছাতক উপজেলার সাব-রেজিষ্ট্রার মহসিন মিয়ার ডিও উক্তীর্ণ হওয়ার পরও গত ১ বছরেরও বেশী সময় ধরে ছাতকেই রয়ে গেছেন। প্রতি মাসে দলিল সম্পাদনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অনিয়মের উপর ভর করে কোটি টাকা অধিক সরকারি রাজস্ব আয়ের শুভঙ্করের ফাঁকি দিয়ে পুকুর চুরির ঘটনা ঘটলেও দায়িত্বশীল পদে থেকে রেজিষ্ট্রার এসব অনিয়ম দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেজিষ্ট্রার অফিসের অপর একটি সুত্র জানিয়েছে, জেলার একটি উপজেলার সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসে সাব-রেজিষ্ট্রার সহ সংশ্লিস্টদের যোগসাজেসে গত কয়েক মাস পুর্বে সাড়ে ৪৪ লাখ টাকার জমি শ্রেণী পরিবর্তন করে জমির মুল্য প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টাকা দেখিয়ে রাজস্বাবত মাত্র ৫৯ হাজার ৫’শ টাকা টাকা ব্যাংকে জমা দেয়া হয়েছে। অতচ দলিল গ্রহীতার নিকট থেকে প্রতারণার মাধ্যমে সাড়ে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। বিষয়টি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব রেজিষ্ট্রেশন অফিসের নজরে এলে ঘটনা ধামাচাঁপা দিতে গিয়ে শেষ পর্য্যন্ত ঐ জমির দলিল লেখকের লাইসেন্স বাতিল করা হয়। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এত বড় পুকুর চুরির ঘটনা ইন্সপেক্টর জেনারেল অব রেজিষ্ট্রেশন অফিসের নজরে এলেও জেলা রেজিষ্ট্রারের নজর এড়ায় কি কারনে?।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের এক সময়ের কর্মচারী থেকে সাব-রেজিষ্ট্রার পরবর্তীতে রেজিষ্ট্রার পদে নিয়োগ পেয়ে সাহিদুজ্জামান হাতে পেয়েছেন আলাদীনের চেরাগ। নিজেকে ধোয়া তুলসি পাতা হিসাবে জাহির করতে চাইলেও তার অগাদ সম্পদ গাড়ি বাড়ি ও দোকানকোটার মালিক হওয়ার বিষয়টি জানার পর যে কারও চোখ কপালে উঠার মত হয়ে যাবে। বিভিন্ন সুত্রে অনুসন্ধান চালিয়ে জানা যায়, রেজিস্ট্রার খন্দকার সাহিদুজ্জামানের ঢাকা মহানগরীতে রয়েছে একাধিক দৃষ্টিনন্দন বাড়ি। মতিঝিলে দোকানকোট সহ শত কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে এই কর্মকর্তার। সড়ক ও জনপথ বিভাগের এক সময়ের কর্মচারী ছিলেন খন্দকার সাহিদুজ্জামান। ১৯৭৭ সালে এইচ এসসি পাস করে সড়ক ও জনপথ বিভাগে সিকিউরিটি অফিসারের চাকুরি নেন পরে এরশাদ সরকারের শাসনামলে এনাম কমিটির রিপোর্টে চাকুরি হারানোর পর ১৯৮৫ সালে ফের সিলেটের সাব-রেজিস্ট্রার হিসাবে নিয়োগ বাগিয়ে নেন তিনি। সাব-রেজিষ্ট্রার এর পর রেজিষ্ট্রার পদে আসীন থেকে গত ২৮ বছরে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন এই কর্মকর্তা।
২০০১ সাল থেকে ২০০৩ সালে ঢাকা নগরীতে ৬ তলা বাড়ি তৈরী করেছেন সাহিদুজ্জামান। মোহাম্মদীয়া হাউজিং লি.এর রোড নম্বর ৪ এর ৮৫/২এর বিলাসবহুল ভবন দেখলে কেউ ভাবতেই পারবেন না, এটি মফস্বল শহরে কর্মরত একজন কর্মকর্তার বাড়ি। এই বাড়িতে তিনি না থাকলেও শুধু নিজের ব্যবহারের দামি একটি গাড়ী ভবনের নিচতলার গ্যারেজে রাখেন রেজিষ্ট্রার।
ঢাকা মহানগরীর লালমাটিয়ার ব্লক সিতে অক্সফোর্ড স্কুলের পেছনের হাউস নম্বর ৫/১৩ এর সুরম্য ভবনেও তাঁর দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে। ল্যান্ড ডেভলাপার দিয়ে বাডিটি তৈরি করা হয়, এই বাড়ির একটি ফ্ল্যাটেই পরিবার নিয়ে থাকেন সাহিদুজ্জামান।
মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকার মধুমিতা সিনেমা হলের কাছে অভিজাত লিলিপন্ট সেন্টারে স্ত্রীর নামে দুটি দোকান কিনেছেন সাহিদুজ্জামান।
মিরপুর ১০ নম্বর থেকে ক্যান্টমেন্টের দিকে যেতে পানির ট্যাংকির পশ্চিম পাশের চার তলা দৃষ্টিনন্দন বাড়িটির মালিকও সাহিদুজ্জামান। রাজধানীতে একাধিক বাড়ি, দোকান কোটা ও দামী গাড়ি সহ এসব দৃশ্যমান সম্পদ ছাড়াও আরো কোটি কোটি টাকার সম্পদ তাঁর রয়েছে বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।
খন্দকার সাহিদুজ্জামান সাব রেজিষ্ট্রার ও রেজিষ্ট্রার হিসাবে চাকুরী জীবনের বেশি সময় সিলেট, সুনামগঞ্জ মাগুরার মোহাম্মদপুর, শালিকা, বাঁশখালী, পটুয়াখালি, কিশোরগঞ্জে দায়িত্বপালন করেন। কিশোরগঞ্জে রেজিষ্ট্রার হিসাবে দায়িত্বপালন কালে ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগে ১ বছর তাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করে রাখা হয়। পরবর্তীতে বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হলে সর্বশেষ চলতি দায়িত্বে পুন:রায় জেলা রেজিষ্ট্রার হিসাবে সুনামগঞ্জ বদলী হয়ে আসেন সাহিদুজ্জামান।
খন্দকার সাহিদুজ্জামানের বক্তব্য: এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে খন্দকার সাহিদুজ্জামানের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত সকল ধরণের ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ শতভাগ মিথ্যা দাবি করে এ প্রতিবেদকে বলেন, রাজধানীতে তার নিজের তিনটি বাড়ি গাড়ী রয়েছে। বাড়ির একটি জমি আমার মায়ের আরেকটি জমি ছিল বাবার, আরেকটি দানপত্রের জায়গা, মার্কেটের দোকান কোটা স্ত্রী কামরুন্নাহারের নিজের ব্যবসায়ীক আয় থেকে কেনা হয়েছে বললেও স্ত্রী কি ব্যবসা করেন তা জানাতে পারেননি। দিরাই সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে ৪ জন দলিল লেখক তাদের সার্টিফিকেট জালিয়াতির পর লাইসেন্স বাতিল হওয়ার পরও কি করে এখনও দলিল লিখার কাজ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইজিআর অফিস থেকে তাদেরকে পুন:বহাল করা হয়েছে , এক্ষেত্রে তিনি কোন টাকা নেননি বলে জানান। জমির মুল্য কম দেখিয়ে সাড়ে ৬ লাখ টাকা মুল্য দেখিয়ে তিনি দলিল সম্পাদনের বিষয়টি তিনি জানেন বলে স্বীকার করেন। পরিদর্শনে গেলে তিনি নিজের পকেটের টাকায় হোটেলে খাবার দাবার খান বলে জানান।