সিলেটে ফের চিকিৎসকদের অবহেলায় জমজ শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ

Sylhet-Womes-medical-collegরাসেল আহমদ,সিলেটঃ আহজারি থামছে না সন্তানহারা এক মায়ের।যাকেই কাছে পাচেছন ,বলছেন তার সন্তানকে কোলে ফিরিয়ে দিতে।কান্নায় ভেসে যাচ্ছে বুক। সন্তান শোক আর বেদনায় নীল হয়ে উঠেছেন সিলেটের জকিগন্জ উপজেলার কাজী রাজিয়া বেগম(৩৬)। এখনও তিনি শোকে বিহ্বল। গত বুধবার রাতে সিলেটের উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ২১নং ওয়ার্ডের ২৭নং বেডে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের অবহেলায় দুই জমজ সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে রোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়,গর্ভাবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন তখন দায়িত্বরত ডাক্তাররা দ্রুত ডেলিভারি করার জন্য বলেন । রোগীর রক্তের প্রয়োজন তাই রক্তের গ্র“প নির্ণয়ের জন্য ল্যাব রেজিষ্টারে বি নেগেটিভ লিপিবদ্ধ করা হয়।তারপরে কম্পিউটার টাইপ করার সময় বি পজেটিভ উল্লেখ করা হয় । হঠাৎ রাত ১১টার দিকে প্রসব জনিত ব্যথা উঠলে সেখ্ানকার কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্স কে অবহিত করা হলে তারা ব্যাপারটি আমলে নেয় নি এবং ধমক দিয়ে অস্থির না হওয়ার জন্য শাসান। এরপর রোগী তার বেডে প্রসব বেদনার যন্ত্রনায় ছটফট করতে করতে একটি জীবিত সন্তান প্রসব করেন পরে এক ঘন্টার ব্যবধানে কর্তব্যরতরা লেবার রুমে নিয়ে যান আরেকটি সন্তান প্রসব করান ।দায়িত্বরত ডাক্তাররা রোগীর মেয়ের কাছ থেকে দুটি বাচ্চা মৃত বলে স্বাক্ষর নিতে গেলে উনারা বাচ্চা দুটোকে দেখতে চান ।তখন নার্স বাচ্চা দুটিকে একটি ট্রেতে করে রোগীর বেডের নিচে রেখে যান ।এরপর রোগীর বড় মেয়ে ও আশেপাশের বেডের লোকজন একটি বাচ্চার নড়াচড়া দেখে নার্সকে অবহিত করেন । নার্স এসে শিশু ডাক্তারকে দেখানোর কথা বলে বাচ্চাদেরকে নিয়ে যান এরপর কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষনা করেন । রাজিয়া বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, অবহেলার কারনেই তার বাচ্চা দুটোর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও রোগীর ছাড়পত্্র দেয়ার সময় বিলের সাথে ৮০০০টাকা অক্্িরজেন মিটার বাবদ ক্ষতি পূরন চাওয়া হয় । লিখিত অভিযোগে রাজিয়া বেগমের আত্মীয় কাজী আব্দুর রহমান এই অমানবিকতাএবং দায়িত্বরতদের অবহেলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।