নবীগঞ্জ পশু সম্পদ অফিস টাকা ছাড়া চিকিৎসা হয় না

বদলী বাতিল করে বহাল তবিয়তে, কর্মকর্তার কু-টির জোর কোথায় ?

নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বরুন কুমার দত্তের বিরুদ্ধে ব্যাপক ঘুষ,দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গ্রামীন জনপদের লোকজন তাদের গবাধি পশুর চিকিৎসার জন্য নবীগঞ্জ শহরের ওসমানী রোডস্থ পশু হাসপাতালে নিয়ে আসলে উক্ত ডাক্তারকে ৩ শ’ থেকে ১ হাজার টাকা এবং নিয়ে চিকিৎসা করালে ৫ শ’ থেকে ২ হাজার টাকা ফ্রি দিতে হয়। অন্যতায় তিনি গবাধির চিকিৎসা না করেই বিদায় করে দেন বলে অভিযোগে প্রকাশ। এছাড়া ওই পশু হাসপাতাল থেকে সরকারী কোন ঔষধ পত্র না পেয়ে বিভিন্ন ফার্মেসীর দোকান থেকে চড়া মুল্যে খরিদ করতে হয়। নতুবা টাকা দিলে উক্ত হাসপাতাল থেকে ঔষধ এবং ভেকসিন বের করে দেন ডাক্তার বরুন কুমার দত্ত। ফলে গবাধি পশুর চিকিৎসার জন্য চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। পশু সম্পদ কর্মকর্তার এ সব কার্যক্রমে তার কুটিঁর জোর কোথায় ? এ প্রশ্ন ভুক্তভোগীদের। ভোগান্তির শিকার উপজেলার কুর্শি ইউনিয়ের রতনপুর গ্রামের মনমন রায়ের ছেলে অমর রায় জানান,গত শনিবার তার একটি গাভীকে ভিঙ্গুল বলায় কামড় দিলে তিনি ডাক্তারের কাছে ছুটে আসেন বাড়িতে নেয়ার জন্য। এ সময় ডাঃ বরুন কুমার দত্ত ৫ শ টাকা ফ্রি দাবী করেন। তবে তিনি গিয়ে ঔষধ লিখে দিলে তা বাজার থেকে খরিদ করে নিতে হবে এবং ইনজেকশন পুশ করতে গেলে আরও ৫ শত টাকা দিতে হবে বলে জানান। অসহায় অমর রায় এত টাকা দিতে অপারকতা প্রকাশ করলে তিনি যেতে অস্মতি জানান। অতি সম্প্রতি পৌর এলাকার গন্ধ্যা গ্রামের জনৈক রিক্সা চালক তার একটি বাছুর খাস কম খাওয়ার কারনে পশু হাসপাতাল নিয়ে আসেন। তার কাছ থেকে ৫ শত টাকার বিনিময়ে ইনজেকশন দেয়ার সময় বাছুরটি দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে ওই লোক স্থানীয় লোকদের সহযোগীতায় বাছুর ধরে আনলে ডাঃ বরুন দত্ত একটি ইনজেকশন পুশ করার আধ ঘন্টার মধ্যে বাছুরটি মারা যায়। ওই লোকটি অভিযোগ করেন টাকা নিয়েও তার বাছুরটিকে মেয়াদ উর্ত্তীণ ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলছে।

অভিযোগে প্রকাশ, ডাক্তার বরুন কুমার দত্ত নবীগঞ্জ পশু সম্পদ কার্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই ব্যাপক অনিয়ম,ঘুষ ও দুর্নীতি শুরু করেন। সাধারণ মানুষ গবাধি পশু নিয়ে উক্ত হাসপাতালে আসলে টাকা বিহীন কোন চিকিৎসা সেবা পান না। এছাড়া সরকারী ঔষধ,ভ্যাকসিন মোটা অংকের বিনিময়ে কালো বাজারে বিক্রী করে প্রচুর অর্থ-বিত্তের মালিক হয়েছেন। নাম অপ্রকাশের শর্তে হাসপাতালের জনৈক কর্মচারী বলেন,ডাঃ বরুন দত্ত নাকি নবীগঞ্জ আসতে উর্ধ্বতন কর্তৃপকে কয়েক লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। ওই টাকা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আদায় করার মিশনে নেমেছেন। তাই বার বার তাকে বদলীর চেষ্টা করা হলেও অদৃশ্য কারনে তা বাতিল করা হয়। এ ব্যাপারে ডাঃ বরুন দত্তের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসী দুর্নীতি পরায়ন ডাঃ বরুন কুমার দত্তকে নবীগঞ্জ থেকে অপসারনের দাবী জানিয়েছেন।