বালাগঞ্জে সাংবাদিক ইমনের উপর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন
বালাগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সাপ্তাহিক কুশিয়ারা কুলের সহযোগী সম্পাদক ও বালাগঞ্জ নিউজ ডট কম’র সম্পাদক সাংবাদিক আবুল হোসেন ইমনের উপর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে গতকাল রবিবার বালাগঞ্জ বাসষ্টেন্ডে এক মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করা হয়। স্থানীয় সাপ্তাহিক কুশিয়ারা কুল এর উদ্যোগে এ মানববন্ধন কর্মসুচী থেকে বক্তরা বলেন অভিলম্বে সাংবাদিক আবুল হোসেন ইমনের উপর স্কুল ছাত্র নির্যাতন কারী শিক্ষিকা ফেরদৌস-আরা শুকা বেগমের মিথ্যা মামলায় থেকে অব্যাহতির দাবী জানানো হয়। উক্ত মানব বন্ধনে উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিক, সমাজসেবী, শ্রমিক সংগঠন ও কলেজের শিক্ষার্থী রা অংশ নেয়।
উল্লেখ্য যে বালাগঞ্জ থানায় প্রথম তথ্যপ্রযুক্তি আইনে গত ৯ অক্টোবর মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে, মামলা নং-০৮। শিক্ষিকা ফেরদৌস-আরা শুকা বেগমের দায়েরকৃত এই মামলায় ৬ জনকে আসামী করা হয়েছে, আসামীরা হলেন সাবুল মিয়া (৩৫), কওছর মিয়া (৩৭), সাংবাদিক আবুল হোসেন ইমন (৩৫), এনামূল হক রুহেল (১৮), শফিকুল হক আরক (৪০) লাভলু মিয়া (২৭)। এজাহারের বিবরণ থেকে জানা যায়, শিক্ষিকার মান সম্মান বিনষ্ট করার জন্য আসামীগন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রেফইসবুক ও লিপলেট বিতরণের মাধ্যমে তাহার বিরুদ্ধে কু-রুচি পূর্ণ মন্তব্য প্রকাশ করেছেন। এজাহারে আসামী সাংবাদিক আবুল হোসেন ইমনের পরিচয় দেয়া হয়েছে অন-লাইন পত্রিকা বালাগঞ্জ নিউজ ডটকম অথচ মামলার বিবরণে এই অনলাইন পত্রিকার কোন সম্পৃক্ততার উল্লেখ নেই। তাহার বিরুদ্ধে বলা হয়েছে বালাগঞ্জ বার্তা ও হাসামপুর বার্তা নামে দুই ফেইসবুক আইডি থেকে শিক্ষিকার মান হানির জন্য কু-রুচিপূর্ণ মন্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে। খোজ নিয়ে জানা যায় ফেইসবুকের এই দুটি আইডির সাথে সাংবাদিক আবুল হোসেন ইমনের কোন সম্পৃক্ততা নেই। ইমন অন-লাইন পত্রিকা বালাগঞ্জ নিউজ ডটকম এর সম্পাদক, সাপ্তাহিক কুশিয়ারার কূল পত্রিকার সহযোগী সস্পাদকের দায়িত্বসহ দেশের জাতীয় দৈনিক ভোরের পাতা পত্রিকার বালাগঞ্জ প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করছে। মামলার ব্যাপারে বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ অকিল উদ্দিন আহমদ বলেন, প্রাথমিক ভাবে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭(২) ধারায় মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তের জন্য এসআই অরূপ কুমার চৌধুরীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত চলছে, সত্য মিথ্যা যাই হউক তদন্ত শেষে মামলার ফাইনাল প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণ করা হবে।