পূজা ও ঈদের ছুঠিতে শ্রীমঙ্গলে লাধিক পর্যটক
রেষ্ট হাউস খাবার হোটেল যানবাহনে তিল ধারনের ঠাঁই নেই
মধু চৌবে, শ্রীমঙ্গল থেকেঃ পবিত্র ঈদের ছুটিতে শ্রীমঙ্গল ও তার আশপাশ এলাকার দৃষ্টি নন্দিত এলাকা গুলোতে লাধিক পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। এর ফলে থাকার রেষ্টহাউজ থেকে শুরু করে খাবার হোটলে , যানবাহন কোন কিছুতেই এর ঠাই মিলছেনা। তবে পর্যটকরা বেশির ভাগ ব্যস্ততায় সময় কাঁটাচ্ছেন শ্রীমঙ্গলের সিতেশ বাবুর মিনি চিড়িয়াখানায়, রমেশ রাম গৌড় এর পাঁচ রং চা এর দোকানে ও লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের সাথে গ্রেন্ড সুলতান রির্সোট ও বধ্য ভূমি ৭১ এ। এদিকে আগত পর্যটকরা খাবার হোটেল, অভ্যান্তরীন যানবাহন এমনকি রাত্রী যাপনের জন্য চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে । রেষ্ট হাউজ,র্বোডিং, গেষ্ট হাউজ, রির্সোট, কটেজ অগ্রিম বোকিং থাকার কারনে বর্তমানে তিল ধারনের ঠাঁই নেই।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার বাংলাদেশ চা গবেষনা কেন্দ্র, চা বাগান , আনারস বাগান ,লেবু বাগান রাবার বাগান, খাসিয়া পুঞ্জি, বাইক্কা বিল, সাত রঙ্গা চায়ের দোকান ণীল কন্ঠ চা কেবিন, বিভিন্ন পাহারী লেক , হাইল হাওর ও হাওর জুড়ে ফিসারীর মেলা, শ্রীমঙ্গলের একমাত্র ঝর্ণা যজ্ঞ কুন্ডের ধারা সহ শ্রীমঙ্গল ও তার আশপাশে পর্যটক আকৃষ্ট স্থানে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও লাধিক দর্শকের সমাগম ঘটেছে। আর এ পর্যটকরা বরাবরই রাত্রী যাপন ও খাবার দাবারে জন্য ব্যবহার করেন শ্রীমঙ্গল শহরকে। ফলে শ্রীমঙ্গলের অর্ধশতাধিক রেষ্ট হাউজ ও আবাসিক হোটেল কোনটিতেই এখন আর রোম খালি নেই। আর এর চাপ পড়েছে খাবার হোটেলেও। পর্যটকদের খেতে হয় লাইন ধরে। অনেকে বাধ্য হয়ে খাবার প্যাকেটিং করে নিয়ে যাচেছন । একই অবস্থা শ্রীমঙ্গল এর অভ্যান্তরীন যোগাযোগের ছোট ছোট ভাড়ায় চালিত যানবাহন টিপ দিয়ে কভার করতে পারছেনা। সবচেয়ে বেশি জনসমাগম ঘটেছে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে। লাউয়াছড়া উদ্যানে আগের মতো নিরবতা নেই মানুষের পেছনে মানুষ। এক সাথে অনেক লোক আসায় কর্মরতদের প্রবেশ টিকেট দিতে কষ্ট হচ্ছে। পর্যটকরা দীর্ঘ লাইন ধরে টিকেট নিচেছন। এদিকে অনেকটা একই রকম চিত্র দেখা গেছে সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানায় ও রমেশ রামগৌড় এর চায়ের দোখানে। গতকাল সরজমিনে গিয়ে দেখাযায়, সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানায় পর্যটক ও যানবাহনের লাইন ছিল দেখার মতো। অনেকে এক কিলো দূরে গাড়ি রেখে হেঁেট গিয়ে চিড়িয়াখানা দেখছেন। আর পর্যটকদের নীলকন্টের চায়ের কাপে চুমু দিতে অপো করতে হয় দেড় থেকে দুই ঘন্টা।সদ্য পূজা ও ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে অনেকেই দূরদুরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন প্রকৃতির লীলা ভূমি চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে।তবে অনেকেই রাত্রী যাপন বা থাকার সুবিধা না পেয়ে যাত্রা বাতিল করে এক দিনেই ফিরে যাচ্ছেন গন্তব্য স্থানে।শ্রীমঙ্গল ষ্টেশন ও বাস কাউন্টারে রয়েছে ফেরার টিকেট কাটার ভির।