সিলেটে সড়ক দূর্ঘটনায় স্ত্রী, সন্তানসহ ব্যাংকার নূরুল আফসার নিহত
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ ঈদের ছুটিতে বেড়ানো শেষে আর কর্মস্থলে ফেরা হলো না অগ্রণী ব্যাংকের ঢাকা প্রিন্সিপাল অফিসের ডিজিএম নূরুল আফসারের (৪৮)। সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন স্ত্রী-কন্যা ও পরিবারের অন্য সদস্যসহ এই ব্যাংক কর্মকর্তা। তবে, ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে গেলেও আহত হয়ে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে তার প্রিয়তমা এক কন্যা ফাতেমা বেগম (১০)। নিহতেদের মধ্যে ব্যাংকার নূরুল আফসার ছাড়াও রয়েছেন তার স্ত্রী উম্মে কুলসুমা (৩৮), মেয়ে মুনতাহিনা ইসলাম (১৪). গাড়ি চালক চালক পলাশ (৩৭)। এ ঘটনায় তার সহকর্মী অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েছেন।
অগ্রণী ব্যাংকের সিলেট অঞ্চলের পিডি মোখলেছুর রহমান জানান, ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে ডিজিএম নূরুল আফসার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সিলেটে বেড়াতে আসছিলেন। মঙ্গলবার ভোরে একটি হাইয়েস মাইক্রোবাস ভাড়া করে তিনি সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। এজন্য ৮ ও ৯ তারিখের জন্য নগরীর হোটেল সুপ্রীমেও রুম বুকড করা হয়েছিল। কিন্তু, হোটেলে পৌঁছার আগেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা মতে, সুরমা পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৫৬২৯) সিলেট থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিল। সিলেট থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে রশীদপুর সাত মাইল নামক স্থানে সকাল ১১টায় বাসটির চাকা পাংচার হয়ে যায়। এ কারণে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি হাইয়েস মাইক্রোবাস((ঢাকা মেট্রো চ-১৫-১৯৭৭)-এর ওপর বাসটি উপড়ে পড়ে। ঘটে এ নির্মম ঘটনা।
অগ্রণী ব্যাংকের ঢাকা প্রিন্সিপাল অফিসের ডিজিএম নূরুল আফসার (৪৮), তার স্ত্রী উম্মে কুলসুমা, কন্যা মুনতাহিনা ইসলাম (১৪) ছাড়াও চালক পলাশও (৩৭) মারা যান এ দুর্ঘটনায়। এ ঘটনায় ব্যাংক কর্মকর্তার কন্যা ফাতেমা বেগম (১০) ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. তন্ময় ভট্টাচার্য।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দক্ষিণ) জেদান আল মুসা জানান, নিহতের মধ্যে দুজন ঘটনাস্থলে এবং একজন হাসপাতালে মারা যান। এছাড়া, ওসমানীতে মারা যান আরেকজন। আহত তিনজনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকলেও দুপুর ১২টার দিকে আবার যান চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, নূরুল আফসার এর আগে সিলেটে অগ্রণী ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। এ কারণে সিলেটের প্রতি ছিল তার আলাদা টান। আর এ টানেই তিনি ছুটে আসছিলেন সিলেটে। কিন্তু, শেষ বারের মতো তার সিলেট দেখা হলো না।