বিশ্বনাথে সাংবাদিকের বাড়ীতে ডাকাতি মামলায় ২ ডাকাতের কারাদন্ড
বিশ্বনাথ প্রতিনিধিঃ বিশ্বনাথে সাংবাদিকের বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় দুই ডাকাতকে ৭বছর করে সশ্রম কারাদ- দেওয়া হয়েছে। গতকাল রবিবার জননিরাপত্তা বিঘœকারী দমন আদালত সিলেটের বিশেষ দায়রা জজ মো. মঈদুল ইসলামের আদালতে এই রায় ঘোষণা করা হয়।
আদেশে বলা হয়-সিলেট সদর উপজেলার বড়কাপন গ্রামের মৃত তজমুল আলীর পুত্র হাবিবুর রহমান ওরফে হবি (৪০) ও বিশ্বনাথ উপজেলা গমরাগুল গ্রামের সফিক মিয়া পুত্র হেলাল মিয়া (২৫) এর বিরুদ্ধে ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করে দ- বিধির ৩৯৫/৩৯৮ ধারায় প্রত্যেককে ৭ (সাত) বছর করে সশ্রম কারাদ-ে দ-িত ও ২হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে সশ্রম কারাদ-ে দ-িত করা হয়েছে। অভিযুক্ত অপর ৪ আসামীকে ঘটনার সাথে সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন-বিশ্বনাথ উপজেলার তবলপুর গ্রামের জামাল মিয়া, গমরাগুল গ্রামের রুবেল মিয়া, ঘাসিগাঁও গ্রামের তছির মিয়া ও সিলেট সদর উপজেলার বড়কাপন গ্রামের বিলাল মিয়া।
জানা গেছে, ২০১০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের পূর্ব পাহাড়পুর (গমরাগুল) গ্রামের বাসিন্ধা ও দৈনিক সিলেটের ডাক পত্রিকার বিশ্বনাথ প্রতিনিধি এমদাদুর রহমান মিলাদের বাড়ীতে একদল সংঙ্গবদ্ধ ডাকাত ঘরের জানালা ভেঙ্গে ডাকাতির চেষ্ঠা চালায়। ব্যর্থ হয়ে পালিয়ে যাওয়া সময় আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য হবিবুর রহমান উরফে হবি কে অস্ত্রসহ আটক করেন স্থানীয় জনতা।। এঘটনায় সাংবাদিক এমদাদুর রহমান মিলাদ বাদী হয়ে আটককৃত ডাকাত হবির স্বীকারুক্তিতে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরো ৩/৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১২ তাং- ১৪(৯)১০ ইং, দায়রা নং ৯৩২/১১। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্ত ডাকাতদের আটক করতে সিলেটের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়।এরপর ঐ বছরের ১১ নভেম্বর অভিযুক্ত হেলালকে আটক করে পুলিশ এবং পরবর্তীতে তার স্বীকারুক্তিতে আটক করা হয় রুবেল, তছির, জামাল ও বিলালকে। মামলাটি দীর্ঘদিন বিচারাধীন থাকার পর গতকাল রবিবার রায় প্রদান করেন আদালত।