কিশোরী অঞ্জনা হত্যাকান্ডের খোজঁ নিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল

উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ থেকেঃ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের বহুল আলোচিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের ডক্টরস কোর্য়াটারে হাসপাতালের প্রধান সহকারী সজল কান্তি দেবের বাসার গৃহকর্মী কিশোরী অঞ্জনা রানী সরকারের চাঞ্চল্যকর হত্যা কান্ডের ঘটনার প্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার দুপুরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের হবিগঞ্জের সদস্য এডভোকেট পারভীন আক্তার এবং এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের হবিগঞ্জের সদস্য এডভোকেট রুহুল হাসান শরীফ নিহত অঞ্জনার গ্রামের বাড়ি নবীগঞ্জ সদও ইউনিয়নের দত্তগ্রামে গিয়ে তার পিতা ও স্বজনদের সাথে দেখা করেছেন। কমিশনের নেতৃবৃন্দ নিহত অঞ্জনা সরকারের পিতা রাজেন্দ্র সরকারসহ স্বজনদের পাশাপাশি স্থানীয় মেম্বার ও সমাজপতিদের কাছ থেকে ঘটনার বর্ণনা শুনেন। এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জের সিনিয়র সাংবাদিক এটিএম সালাম, দৈনিক যুগান্তর নবীগঞ্জ প্রতিনিধি মোঃ সরওয়ার শিকদার, এলাকার বিশিষ্ট সমাজবেসক আব্দুর রকিব ও পিন্টু পুরকায়স্থ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। তারা বলেন সংশি¬ষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার শেখ আব্দুল হাকিম’র সাথে। মামলার চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন অঞ্জনা হত্যাকান্ডের আন্দোলনের নেতা অলিউর রহমান অলির সাথে। মানবাধিকার কমিশনের নেতৃবৃন্দ অঞ্জনার গ্রামের বাড়ি যাবার আগে দেখা করে কথা বলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডাঃ অর্ধেন্দু দেব, আরএমও ডাঃ আব্দুস সামাদ ও নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ লিয়াকত আলীর সাথে। এদিকে অঞ্জনা সরকারের অসহায় পিতা রাজেন্দ্র সরকার, কাকা জীতেন্দ্র সরকারসহ উপস্থিত গ্রামের সমাজপতিরা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নেতৃবৃন্দের কাছে ঘটনার প্রথম দিকে থানা পুলিশের বির্তকৃত ভুমিকার অভিযোগ করেন। এবং আইনী মারপ্যাচে ঘাতক সজল কান্তি দেব ও তার পরিবার যাহাতে রক্ষা না পায় এ ব্যাপারে সহযোগিতার দাবী জানান। জবাবে কমিশনের নেতৃবৃন্দ এ ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ড উলে¬খ করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিঃশ্চিত করনে কমিশনের পক্ষে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।