জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সিলেট জেলা শাখার কাউন্সিল সম্পন্ন
অবৈধ কর্মকান্ডকে বৈধ করার জন্যই সরকার বিচার বিভাগকে হাতের মুঠোয় নিতে চায়
—আল্লামা নুর হুসাইন কাসেমী
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র সহসভাপতি আল্লামা নুর হুসাইন কাসেমী জমিয়তের অতিত ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, জমিয়ত ইসলাম, দেশ ও জাতির স্বার্থে আন্তর্জাতিক পর্যায় সহ দেশের সর্বস্তরে কাজ করে আসছে। ইংরেজ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে নাস্তিক ব্লগার বিরোধী শাপলা চত্বর আন্দোলনেরও নেতৃত্ব দিয়েছে। জমিয়ত তার শত বছরের রাজনৈতিক ইতিহাসে ইসলাম ও দেশ বিরোধী কোনো শক্তির কাছে আপোষ করে নি। যখন ইসলাম ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়, তখনই জমিয়ত কঠোর আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ে। তিনি বর্তমান সরকারের কঠোর সমালচনা করে বলেন, এ সরকারের হাতে ইসলাম, দেশ ও জাতি নিরাপদ নয়। তাদের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তারা জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত তাদের দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করেছে। রাষ্টের বিভিন্ন বিভাগে হস্থক্ষেপ করে ক্লান্ত হয় নি বরং বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণে নিতে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। কারন তাদের অবৈধ কর্মকান্ডকে বৈধ করার জন্যই তারা বিচার বিভাগকে হাতের মুঠোয় নিতে চায়। তিনি সিলেট জেলা জমিয়তের নবগঠিত কমিটির দায়িত্বশীলদের প্রতি সরকার পতনের আন্দোলন পূণ্যভূমি সিলেট থেকে সূচনা করার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জমিয়তের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফি বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার অবধৈ কর্মকান্ডের গণজোয়ার সৃষ্টি করেছে। সকল অবৈধ কর্মকান্ডকে গোপন রাখার জন্য কথিত সম্প্রচার নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। সচেতন দেশবাসী তা বরদাশ্ত করবে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জমিয়তের কেন্দ্রিয় সহসভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, সরকারের সম্প্রচার নীতিমালার বিরোধীতা করে বলেন, এই সরকার জনগণের সরকার নয়, তাই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে ২০ দলীয় জোট নয়; প্রয়োজনে সর্বদলীয় জোট করে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম মাঠে ময়দানে ঝাপিয়ে পড়বে।
আজ শনিবার নগরীর দরগাহ গেইটস্থ শহীদ সুলেমান হলে ‘সিলেট জেলা জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথির বক্তব্য দানকালে তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
জেলা জমিয়তের সভাপতি মাওলানা শায়খ জিয়া উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশনে স্বাগত বক্তব্য ও সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আতাউর রাহমান কোম্পানীগঞ্জী।
জেলা জমিয়তের যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা আবদুল মালিক কাসিমী ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা নজরুল ইসলামের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শায়খুল হাদীস মাওলানা উবায়দুল¬াহ ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, যৃগ্ম মহাসচিব মাওলানা তাফাজ্জুল হক আজিজ, শায়খুল হাদীস মুফতি মুজিবুর রাহমান, শায়খুল হাদীস মাসউদ আহমদ, সিলেট মহানগর জমিয়তের সভাপতি হাফিজ মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী, সুনামগঞ্জ জেলা জমিয়তের সভাপতি মাওলানা আবদুল বছির, জমিয়ত নেতা মাওলানা মোশাহিদ খালপারী, মাওলানা আবদুছ ছালামা রশিদী, শায়েখ আবদুল মতিন, আলহাজ্ব শামসুদ্দীন বানিগামী, মাওলানা খয়রুল হোসেন, হাফিজ আবদুর রাহমান সিদ্দীকি, মাওলানা আবদুুল মালিক চৌধুরী, মাওলানা শামসুল ইসলাম মিরেরচরী, মাওলানা আবদুল মুছাব্বীর কোম্পানীগঞ্জী, মাওলানা জাওয়াদুর রাহমান, মাওলানা আবদুল আজিজ, মাওলানা ফিরুজ আহমদ, মাওলানা শায়েখ আবদুস শহীদ, মাওলানা খলিলুর রাহমান, মাওলানা হাফিজ মাওলানা সৈয়দ শামিম আহমদ, মাওলানা আসরারুল হক, মাওলানা আবদুল গফ্ফার ছয়ঘরী, মাওলানা মুশতাক আহমদ চৌধুরী, বিয়ানীবাজার উপজেলা ভাইস চেয়াম্যান মুফতি শিব্বীর আহমদ, জামালগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা রশীদ আহমদ, মাওলানা জয়নাল আবদীন, মাওলানা নূর আহমদ কাসিমী, আলহাজ্ব জোবায়ের আল মাহমুদ, মাওলানা বিলাল আহমদ ইমরান, হাফিজ মাওলানা আবদুল খালিক কাসিমী, ,মুফতি এবাদুর রাহমান, মাওলানা মাহফুজ আহমদ কাসিমী, মাওলানা ওলিউর রাহমান, মাওলানা ফরিদুদ্দীন কয়েস, মাওলানা মুহাম্মদ আলী, মাওলানা নুরুল হক, মাওলানা শিব্বির আহমদ বিশ্বনাথী, মাওলানা কাজী আমীন উদ্দীন, হাফিজ মাওলানা আবদুছ ছালাম, মাওলানা আবদুছ ছালাম, মাওলানা বদরুল ইসলাম, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মাওলানা হিফজুর রাহমান, হাফিজ মাওলানা শরীফ আহমদ শাহান, হাফিজ আলী আহমদ, মাওলানা নাজিমুদ্দীন, মাওলানা রিয়াজুদ্দীন, মাওলানা মুস্তফা আহমদ, মাওলানা কারী মুখতার, মাওলানা সাইফুর রাহমান, সৈয়দ ছালিম কাসিমী, মাওলানা হাসান আহমদ, মাওলানা লুঃফুর রাহমান, বিলাল আহমদ চৌধূরী প্রমুখ।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে মাওলানা শায়খ জিয়া উদ্দীনকে সভাপতি, মাওলানা আতাউর রাহমান কোম্পানীগঞ্জীকে সাধারণ সম্পাদক, মাওলানা নজরুল ইসলামকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।