টিলাগড়ে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ : আহত৫ : ডিগ্রিতে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ এমসি কলেজে ডিগ্রি পাস কোর্সে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা আজাদ ও রঞ্জিত গ্রুপের অনুসারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। রবিবার থেকে তাদের বাধার কারণে কলেজে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে করে ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা পড়েছেন বিপাকে। কলেজে ভর্তি বানিজ্যকে কেন্দ্র করে নগরীর টিলাগড়ে ছাত্রলীগের আজাদ-রণজিত গ্রুপের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুই ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে রাখার জের ধরে সোমবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়- প্রায় মাসখানেক আগে এমসি কলেজে ডিগ্রি পাস কোর্সে ভর্তির জন্য অনলাইনে ভর্তি আবেদন ফরম পূরণের কাজ শুরু হয়। এরপর যাচাইবাছাই শেষে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু রবিবার থেকে কলেজে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় আ’লীগ নেতা আজাদ ও রঞ্জিত গ্রুপের অনুসারী কলেজ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। অনলাইনে যারা ভর্তি ফরম পূরণ করেছে, তাদের বাইরে অর্থের বিনিময়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদের পছন্দমতো শিক্ষার্থী ভর্তি করতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে এই ভর্তি কার্যক্রমের ‘টাকার ভাগবাটোয়ারা’ নিয়ে সোমবার এমসি কলেজে আজাদ ও রঞ্জিত গ্রুপের অনুসারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ছাত্রলীগের আজাদ-রণজিত গ্রুপের গোপালটিলার উপ-গ্রুপের ফয়েজ-বৃত্তের নেতৃত্বে এমসি কলেজের প্রীতম-সুমনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। গোপালটিলায় নিয়ে তাদেরকে বেধম প্রহার করেন গোপালটিলার আজাদ-রণজিত গ্রুপের নেতাকর্মীরা। এ খবর পেয়ে এমসি কলেজে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জড় হন আজাদ-রণজিত গ্রুপের অপর উপ-গ্রুপের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। পরে এমসি কলেজের ছাত্রলীগ নেতারা গোপালটিলায় আক্রমণ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলে ও নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। তবে তাদের জানা যায়নি।
এ সময় টিলাগড় এলাকার সব দোকানপাট বন্ধ করে দেন আতংকিত ব্যবসায়ীরা। এমসি কলেজের শিক্ষার্থীরা ভয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের হননি। এ নিয়ে আজাদ-রণজিত গ্রুপের অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্যে রুপ নিলো। এর আগে ও কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে ডিগ্রি পাস কোর্সে সোমবার ছিল ভর্তির শেষ তারিখ। কিন্তু ছাত্রলীগের বাধার কারণে অনেক শিক্ষার্থীই ভর্তি হতে না পেরে পড়েছে বিপাকে। তবে ভর্তির সময় বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে কলেজ সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।