ওসমানীনগর ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুরে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মী। সংঘর্ষ চলাকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক আধা ঘন্টা বন্ধ থাকে।
শনিবার বিকেল ৪ টায় ও সন্ধ্যা ৬ টায় ছাত্রলীগের বিবদমান দু’গ্রুপের সংঘর্ষ চলে। আহতদের মধ্যে সাইফুর, সাহেদ, জামিল, জুবায়েরকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে । অন্যদের নাম পাওয়া যায়নি।
খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানা পুলিশ, স্থানীয় সংসদ সদস্য ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে ছাত্রলীগের উভয় গ্রুপ শক্তিশালী অবস্থানে থাকায় যে কোন সময় মারাত্মক সংঘর্ষ হতে পারে। স্থানীয় সূত্র জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আবদাল হোসেন ও চঞ্চল গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল।
এনিয়ে গত সোমবার কলেজে মারামারি হয়। এ মারামারিকে কেন্দ্র করে ফেসবুকের স্ট্যাটাস লেখা নিয়ে থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দাল মিয়ার সমর্থিত ছাত্রলীগের সদস্যরা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি চঞ্চল পালকে তার দোকানে গিয়ে ডাকাডাকি করে আসে।
বিষয়টি জানাজানি হলে চার টার সময় চঞ্চল পালের সমর্থকেরা সংঘটিত হয়ে আব্দাল মিয়ার সমর্থকদের ধাওয়া করে। এসময় আব্দাল মিয়ার সমর্থকেরা তাদের অফিসে আশ্রয় নেয়
চঞ্চল পাল গ্রুপের কর্মীরা আব্দাল মিয়ার অফিসে হামলা করলে আব্দাল মিয়ার সমর্থকেরা তাজপুর মসজিদ দিয়ে পালিয়ে যায় । এসময় আব্দার মিয়ার অফিসে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। আব্দাল মিয়ার অফিস মসজিদ সংলগ্ন হওয়ায় উত্তেজিত কর্মীরা তাজপুর বাজার মসজিদের জানালার গ্লাস ভাংচুর করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সংঘর্ষ চলাকালে তাজপুর বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকান পাট বন্ধ করে দিকবিদিক ছুটে যান। খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানা পুলিশ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য এহিয়া চৌধুরী ঘটনাস্থলে আসেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনলে মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়।
এ বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ায় উভয় গ্রুপ। সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা সদরে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ওসমানী নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবের আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বলে জানান তিনি।