তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় রেড এলার্ট : বিপদ সীমার ৫৫ সে.মি. উপরে পানি
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ ভারত থেকে পানি বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। এতে তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় পানি বিপদ সীমার ৫৫ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ব্যারেজের উজান ও ভাটিতে অসংখ্য গ্রামের মানুষজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ব্যারেজ হুমকির সম্মুখীন দেখা দেয়ায় সব গেট খুলে দিয়ে পানির গতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চলছে। ব্যারেজ রক্ষার্থে বাইপাসের আশপাশে বসত বাড়ি’র লোকজনদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হচ্ছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ এলাকায় রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে।
পানির গতি বেড়ে যাওয়ায় যে কোনো মুহূর্তে বাইপাস কেটে দেয়া হতে পারে। ওই বাইপাস কেটে দেয়া হলে গোটা লালমনিরহাট জেলা পানিবন্দি হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী হাফিজুল ইসলাম জানান, ভারতে বন্যা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি কয়েক দিন ধরে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। যে কারণে প্রতি মুহূর্তে তিস্তা’র পানি বাড়ছে।
এ দিকে তিস্তার পানি সানিয়াজান, ধরলা, বুড়ি তিস্তা ও সতী নদীতে প্রবেশ করায় ওই সব নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোর হাজার হাজার বসত বাড়িও পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
সুত্র মতে, জেলার পাটগ্রাম উপজেলার আঙ্গোরপোতা-দহগ্রাম ছিটমহল, হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারী, সিন্দুনা, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্চ উপজেলার ভোটমারী, তুষভান্ডার, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার রাজপুর, খুনিয়াগাছা ও গোকুন্ড ইউনিয়নের ৫০ গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা তিস্তা ব্যরাজের ভাটিতে হাতীবান্ধা উপজেলা ৬টি ইউনিয়নের।
পানিবন্দি লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার মধ্য রাত থেকেই তারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের জানানো হলেও এখন পর্যন্ত তাদের মাঝে কোনো খাবার বা ত্রাণ বিতরণ করা হয়নি।
এদিকে হাতীবান্ধা উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় উপস্থিত হয়ে বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করছেন। তিনি জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তিনি বন্যা পরিস্থিতি’র খোঁজ খবর নিচ্ছেন। ত্রাণের জন্য উচ্চ পর্যায়ে অবগত করা হয়েছে।