নবীগঞ্জ উপজেলা পশু অফিস : যেখানে টাকা ছাাড়া কোন চিকিৎসা পাওয়া যায়না
নবীগঞ্জপ্রতিনিধিঃনবীগঞ্জউপহজলাপশুঅফিসযেখানেটাকাছাড়াকোনপশুরচিকিৎসাদেওয়াহয়।সকালথেকেদুপুর পর্যন্ত ঐ হাসপাতালে পশুর চিকিৎসার জন্য কোন ডাক্তার থাকেন না,তাদের বদৌলতে চিকিৎসা দেন অফিসের পিওন ও অন্যান্য কর্মচারীরা। তাও আবার টাকার বিনিময়ে।
জানা যায়,নবীগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্রে ওসমানী সড়কে অবস্থিত উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা কার্য্যালয়ে ২ জন চিকিৎসক ডাঃ লিপি রানী বসাক ও ডাঃ বরুন কুমার দত্ত নিয়োজিত ছিলেন। সম্প্রতি ডাঃ লিপি রানী বসাক বদলী হয়ে সিলেট চলে গেলে এ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়োজিত রয়েছেন ডাঃ বরুন কুমার দত্ত। কিন্তু সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ডাক্তার বরুন কুমার দত্তের দেখা পাওয়া যায়না। তিনি প্রতিদিন হাসপাতালের ডিউটি বাদ দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রাইভেট চিকিৎসা নিয়েই ব্যস্থ থাকেন। আর অফিসে চিকিৎসা করলেও তিনি কৃষকদেও কাছ থেকে ৫০০/৭০০ টাকা আদায় করেন। তাই প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে কৃষকরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত গরু,ছাগল,ভেড়া,হাস মুরগীসহ অন্যান্য গবাদিপশু উপজেলা পশু হাসপাতালে নিয়ে আসেন চিকিৎসার জন্য। সরকারী নিয়মে প্রতিটি গাভী প্রজনন ফি ২৭ টাকা এবং পুন প্রজনন ফি না থাকলেও ৫০০/৬০০ টাকার কমে কোন কৃষকরা এখানে কোন পশুর চিকিৎসা করাতে পারেন না। যার ফলে উপজেলার উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা কৃষকরা সরকারী চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অফিসে কর্মরত অন্যান্য কর্মচারীরাও টাকা ছাড়া কোন গবাদি পশুর চিৎিসা করেন না। বিশ্বস্থ সুত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বরুন কুমার দত্ত নবীগঞ্জ উপজেলা অফিসের জন্য বরাদ্দকৃত ঔষধপত্র জেলা প্রাণী সম্পাদ কর্মকর্তার সাথে যোগসাজসে সরকারী ভ্যাকসিন ও অন্যান্য ঔষধপত্র অন্যত্র বিক্রি করে দেন। এ ব্যাপারে একাধিকবার উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলেও কোন সুফল পাওয়া যায়নি। তাই সরকারী চিকিৎসা সেবা পেতে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন ভোক্তভোগী সাধারন মানুষ।