কারান্তরীন সবুজ সিলেট সম্পাদক : নেপথ্যে ভয়াবহ ভুমি জালিয়াত চক্র
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ সবুজ সিলেটের সম্পাদক ও প্রকাশক মুজিবুর রহমান ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় এখন কারান্তরিণ। যার প্রধান কারণ হচ্ছে সবুজ সিলেটে অপরাধীদের নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ওই চক্রটি সংঘব্ধভাবে একেরপর এক ষড়যন্ত্রে নামে। সর্বশেষ সেই ষড়যন্ত্রের কারণে তিনি আজ কারান্তরিণ। অনুসন্ধানে জানাগেছে, যে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা সম্পাদক মুজিবুর রহমান কারাভোগ করছেন এর নেপথ্যে রয়েছে জনৈক ব্যক্তির নানান অপকর্মের সংবাদ প্রকাশ করার কারণ। এরমধ্যে একজন হচ্ছেন খদিম চৌমুহনীর বারাকাত ভবনের হাজী শফিক উদ্দিনের ছেলে জুবের আহমদ। জুবের ইতোপূর্বে সবুজ সিলেট সম্পাদকের কর্মচারি ছিলো। এই সুবাধে সবুজ সিলেটের সম্পাদকের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নেয়ার অভিযোগে তাকে চাকরিচ্যুত— করা হয়। এর পর থেকে শুরু হয় একরপর এক ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকান্ড।আলোচিত এই জুবেরের বিরুদ্ধে রয়েছে ৫টি নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগে মামলা হয়। ২০০৯ সালের ২৬ মে ‘বেপরোয়া এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের দাপট’ শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। একই বছরের ১৪ জুন ‘নাজমুলের মায়ের কান্না আজও থামেনি, জুবেরের প্রতারনায় পথে বসেছেন অনেকেই’ শীর্ষক আরেকটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
ওয়ান ইলিভেনের সময়ে আনোয়ার খন্দকার ওরফে মামা খন্দকারের বিভিন্ন অপকর্মের অনুসন্ধানে ধারাবাহিক ৭টি প্রতিবেদন সবুজ সিলেটে প্রকাশিত হয়। দেশবাসীর কাছে উম্মুচিত হয় মামা খন্দকারের অপকর্মের ইতিহাস। ওই সব সচিত্র প্রতিবেদনের সময় মামা খন্দকারকে আটক করে যৌথ বাহিনী। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১১ শ ৭০ টি জাল দলিল। ওই ঘটনার পর সবুজ সিলেট পত্রিকার সম্পাদকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে জুবেরের সাথে হাত মেলায় মামা খন্দকার। এরপর এই চক্রটি বিভিন্ন ভাবে মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছিলো। বিভিন্নভাবে তারা দুজন সবুজ সিলেটের সহকারী ম্যানেজার জয়নাল আহমদ ও গাড়ি চালকের উপর হামলা চালিয়ে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এ অভিযোগে ২০০৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জয়নাল আহমদ বাদি হয়ে জুবের আহমদসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-৪৫। তারিখ-১০/০৯/০৯। একই বছর ৫ অক্টোবর সবুজ সিলেট সম্পাদকের ছোট ভাই হাবিবুর রহমান তাফাদারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক একটি মামলা দায়ের করেন জুবের। পরে ওই মামলাটির অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় মাননীয় আদালত খারিজ করেদেন। এরপর থেকেই জুবের ও মামা খন্দকারের মিশন শুরু হয় সবুজ সিলেট সম্পাদককে ফাঁসানোর।
তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আদালতে নিজে জাল দলিল সৃষ্টি করে উল্টো জালিয়াতির অভিযোগ দাখিল করে। ওই মামলাটি সম্পর্কে মুজিবুর রহমান কিছুই জানতেন না। সম্প্রতি হঠাৎ করে তিনি জানতে পারেন তার বিরুদ্ধে আদালতে একটি সমন জারি করেছেন। এরপরই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সম্পাদক মুজিবুর রহমান উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের জামিন নিয়ে আসেন। উচ্চ আদালতের আদেশ মতো গত সোমবার নিম্ন আদালতে হাজির হলে তাকে পাঠানো হয় জেল হাজতে।