দারোগা যখন ভাই হত্যার আসামী
সুরমা টাইমসঃ পত্রপত্রিকায় লেখালেখি ও এলাকাবাসীর মিছিল সমাবেশ ও স্মারকলিপির প্রেক্ষিতে জগন্নাথপুর স্বরূপচন্দ্র সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জকিগঞ্জের ঘেচুয়া গ্রামের মৃত মুজম্মিল আলীর ছেলে আব্দুল করিম হত্যাকান্ডের তিনদিন পরে শুক্রবার গভীর রাতে জকিগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় নিহতের ভাই ঢাকা বিমানবন্দর থানার দারোগা শাকুর আহমদসহ পাঁচজনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জকিগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত দেলোয়ার হোসেন জানান, নিহত আব্দুল করিমের ছোট ভাই ফাহিম আহমদের স্ত্রী রুজি বেগম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। শুক্রবার দুপুরে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ সরেজমিন গিয়ে এলাকার হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে পারিবারিক কলহে নিহত আব্দুল করিমের রক্তমাখা জামাকাপড় উদ্ধার করে। সন্ধ্যায় মামলার প্রধান আসামী নিহতের ভাই আব্দুর রহিমের স্ত্রী শেফা বেগমকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় শিক্ষক আব্দুল করিমকে শাবুল দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। আব্দুল করিম হৃদরোগে মারা গেছেন প্রচার করে ময়না তদন্ত ছাড়াই পরদিন তড়িঘড়ি করে লাশ দাফন করা হয়। ঘটনার রাতে নিহতের ভাই ঢাকা বিমানবন্দর থানার দারোগা শাকুর আহমদ বাড়ীতে ছিলেন। হত্যার পর তিনি ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। সম্পত্তি আত্মসাতের জন্যই শিক্ষক আব্দুল করিমকে হত্যা করা অভিযোগ ওঠেছে।
এদিকে শিক্ষক আব্দুল করিমের হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জামশেদ আলমের কাছে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় স্বারকলিপি দিয়েছেন এলাকাবাসী। গেছুয়া গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় দু’শ ব্যক্তির স্বাক্ষরিত স্বারকলিপি প্রদানকালে রূপালি ব্যাংক বাবুর বাজার শাখার ব্যবস্থাপক ও গেছুয়া গ্রামের আতাউর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা নোমান উর রশীদ, মাওলানা মামুনুর রশীদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।