জার্মানি ফাইনালে, ব্রাজিলে কান্না : জার্মানি-৭, ব্রাজিল-০
সুরমা টাইমসঃ জার্মান গোলায় বিধ্বস্ত ব্রাজিল। কল্পনাতিতভাবে ব্রাজিলকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেছে জার্মানি। এখন অপেক্ষা আর্জেন্টিনা না নেদারল্যান্ডস। শুধু ব্রাজিল নয়, এই হারে বিশ্বকাপের আমেজ অন্তত অর্ধেকে নেমে আসবে বাংলাদেশেও। অন্তত অর্ধেকের বিশ্বকাপ শেষ বাংলাদেশে। আধা ঘন্টার মধ্যে পাঁচ গোল দিয়ে বিশ্বকাপে নতুন ইতিহাস গড়েছে জার্মানি। ১৩ আসরে ১২তম সেমিফাইনালে দুর্দান্ত জার্মানির সামনে দাঁড়াতেই পারেনি স্বাগতিক দল। মেজাজ হারানো ব্রাজিল দলকে পাড়ার দলে পরিণত করে ফেলে মুলার-ক্রুস-কোসারা। ১১ মিনিটে প্রথম গোল দেয়ার ২২ মিনিটে দ্বিতীয় গোল দেয় তারা। এরপর যেন বালির বাঁধের মতো ভেঙ্গে যায় ব্রাজিলের রক্ষণব্যুহ। ছয় মিনিটের মধ্যে চার গোল দিয়ে ব্রাজিলকে শোকের রাষ্ট্র বানিয়ে দেয় জার্মানি। মাঠেই কাঁদতে থাকেন অসংখ্য দর্শক। ২০ কোটি ব্রাজিলিয়ান হতবাক হয়ে দেখেন তাদের প্রিয় খেলোয়াড়দের অসহায় আত্মসমর্পণ। প্রথম গোল পঞ্চম গোলদাতা হলেন সামি খেদিরা। ১৯৭৫ সালের পর এতবড় ব্যবধানে হারেনি ব্রাজিল। এ খেলায় দ্বিতীয় গোল করে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড নিজের করে নেন মিরোস্লাভ কোসা। চার আসরে এই পোলিশ বংশোদভুত স্ট্রাইকারের গোল সংখ্যা হলো ১৬টি। ব্রাজিলের রোনালদোর দখলে ছিল ১৫ গোলের রেকর্ড। শুরুতেই আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে মেজাজের ভারসাম্য হারিয়ে নিজেদের পতন ডেকে আনে ব্রাজিল। গত তিন আসরে কোন খেলাতেই প্রথম অর্ধে কোন দল ৫ গোল দিতে পারে নি।
১১ মিনিটে প্রথম গোলটি করেন টমাস মুলার। কর্নার থেকে পাওয়া বল বেশ সহজেই জালে জড়িয়ে দেন তিনি। এটি এ আসরে মুলারের পঞ্চম গোল। বিশ্বকাপের দুই আসরে এটি মুলারের দশম গোল। লুইস ও দান্তে তাকে পাহারায় রাখতে পারেন নি। ২২ মিনিটের সময দ্বিতীয় গোলটি করেন কোসা। প্রথমে গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলেও দ্বিতীয় দফায় আর ভুল করেন নি তিনি। ২৫ মিনিটের সময় টনি ক্রুস তৃতীয় এবং তারপরের মিনিটেই আরেকটি গোল করেন ক্রুস। ২৬ মিনিটের সময় ব্যবধান ৪-০ করে ফেলে জার্মানি। এর তিন মিনিট পা সামি খেদিরাও যোগ দেন গোল দাতার তালিকায়।
ব্রাজিলের নেতৃত্বে ছিলেন ডেভিড লুইস। নেইমারের জায়গায় নামানো হয়েছে বার্নার্ডকে। সবার ওপরে ফ্রেড। তার নিচে অস্কার। ডিফেন্সে মারসেলো, দান্তে, লুইস ও মাইকন। দুই দলই ৪-৫১ পদ্ধতিতে দল সাজিয়েছে।
জার্মানি আজ নিয়মিত একাদশে কোসাকে নামিয়েছে স্ট্রাইকিং পজিশনে। ডানে মুলার আর বামে ওজিল। অ্যাটাকিং ফরোয়ার্ডে আছেন মাঝে ক্রুস আর তার দুই পাশে শোয়েনেস্টাইগার ও খেদিরা। ডিফেন্সে ছিলেন হাওয়েডস, হামলস, বোয়াটেং ও লাম।