বাসিয়া নদীর চর ইজারা প্রদান বন্ধ দাবিতে মানববন্ধন : উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবরে স্মারকলিপি
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি: বিশ্বনাথে উপজেলা সদরের নতুন বাজারস্থ বাসিয়া নদীর চর ইজারা প্রদান বন্ধ ও শেড নির্মাণের নির্দেশনা প্রদানের দাবীতে ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। গতকাল বুধবার বিকেল ৪টায় উপজেলা পরিষদ মাঠে এ কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্বনাথ ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন, ইউপি সদস্য নুরুল হক, ব্যবসায়ী বেলাল উদ্দিন, সুমন আহমদ প্রমূখ। মানববন্ধন শেষে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরীর বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপি সূত্রে জানাগেছে, বিশ্বনাথ বাজারে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে কৃষকরা নিজেদের উৎপাদিত ও ক্ষুদ্র সবজি ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন স্থান থেকে আমদানী করা পন্য বিক্রয়র করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এলাকাবাসি ও ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবির মুখে বাজারের উন্নয়নের প্রদক্ষেপ গ্রহন করেন স্থানীয় সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১২ সালের ২৯ নভেম্ভর ২০১২ সালের ২৯ নভেম্বর ‘বিশ্বনাথ বাজার উন্নয়ন’ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন ‘স্থানীয় সরকার, পল¬ী উন্নয়ন, সমবায় মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
স্মারকলিপি সূত্রে আরো জানাগেছে, মন্ত্রীর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনের পরও এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোক স্থানীয় প্রশাসনের সাথে আতাঁত করে বাজার উন্নয়নের জন্য চিহ্নিত ভূমি ইজারা নেওয়ার জন্য ‘বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা’ বরাবরে আবেদন করে। উপজেলা প্রশাসন রহস্যজনক কারণে খুব দ্রুততার সাথে প্রভাবশালী মহলের সেই আবেদনপত্রগুলো ১ জুন-২০১৪ইং তারিখে জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রেরণ করেছে। এর প্রতিবাদে সর্বস্থরের ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসি গত ৭ জুন উপজেলা সদরে মানববন্ধন করেন। ৮ জুন ব্যাপকভাবে এসংবাদটি একাধিক স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তাই দ্রুত গতিতে শেড নির্মাণসহ বাজার উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করা এবং কৃষকরা যাতে নিজেদের উৎপাদিত পন্য বাজারের উন্মোক্ত ভূমিতে বিক্রি করতে পারেন সেজন্য নদীর চরসহ বাজারের ভূমি ইজারা প্রদান বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরী।
উলে¬খ্য, ইজারা নেওয়ার জন্য উপজেলার ৪৩টি আবেদন গ্রহন করে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কার্যালয় চলতি বছরের ১ জুন তারিখে ৩৮৩নং স্মারকের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রেরণ করেন। এডিসি রেভিনিং কার্যালয় সেই আবেদনপত্রগুলো ৩ জুন ১৩২২নং স্মাারকের মাধ্যমে গ্রহন করেছে। স্বারকলিপি পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী।