অবশেষে সিলেটের অপহৃত সেই হিন্দু শিশু মায়ের জিম্মায়
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ সিলেট নগরীর চালিরবন্দর এলাকার অনুরঞ্জন দাসের নাবালিকা শিশু কন্যা রুমা রানী দাসকে অবশেষে তার মায়ের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। গতকাল রবিবার সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিজ্ঞ বিচারক আব্দুল আজিজ মন্ডলের নিদের্শে তাকে মায়ের জিম্মায়া দেয়া হয়। এর আগে উদ্ধার হওয়া শিশু রুমা নগরীর বাগবাড়িস্থ নিরাপত্তা হেফাজতে ছিলো। ২০১৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় নগরীর চালিরবন্দর সমতা ১৭/৫ নং বাসা থেকে নাবালিকা শিশু রুমা রানী দাস (১৩) জোরকপূর্বক অপহরন করা হলে ৮ সেপ্টেম্বর রুমার পিতা অনুরঞ্জন দাস সিলেট কতোয়ালী থানায় একটি জিডি (নং- ৫১০) করেন। পরে ২৪ ডিসেম্বর অনু রঞ্জন দাসকে ভয় দেখাইয়া অত্র থানায় হাজির করিয়া কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই মর্মে আরেকটি জিডি (নং-৩৮০) দেখাইয়া পূর্বের জিডিটি প্রত্যাহার দেখানো হয়। চাঞ্চল্যকর এ অপহরনের ঘটনাটি জানতে পেরে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সদস্য রাকেশ রায় বাদী হয়ে গত ১০মে সিলেট কতোয়ালী থানায় একটি অপহরন মামলা দায়ের করে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন/২০০০ (সংশোধীত ২০১০) এর ৭ধারায় শিশু অপহরন অপরাধ মামলা নং-০৯(৫) ১৪) করেন। এ মামলায় আসামী করা হয় কিশোরগঞ্জ জেলার বাছিতপুর থানার নতুন শাহপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দার ও বর্তমান সিলেট নগরীর ছড়ার পার এলাকার ভাড়াটিয়া জামাল উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ-কে আসামী করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই বিকাশ চন্দ্র সরকার ভিকটিম নাবালিকা হিন্দু শিশুটিকে মামলা দায়েরের ২দিন পর উদ্ধার করলেও আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আসামী পক্ষেও অব্যাহত হুমকির কারনে ভিকটিম এর পিতা-মাতা ভাই বোন নিরাপত্তার কারনে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হয়। ভিকটিম রুমাকে আদালতে হাজির করলে ২২ ধারা জবানবন্দি শেষে শিশুটিকে বাগবাড়ি স্রেফ কাষ্টরিতে পাঠানো হয়। পরে উভয় পক্ষে দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালতে পূর্বের ধার্যকৃত তারিখে বিশ হাজার টাকা জামিননামার মাধ্যমে মায়ের জিম্মায় দেওয়ার আদেশ দেন। বাদি পক্ষে মামলা পরিচালনা করে এডভোকেট প্রদীপ ভট্টাচার্য, এডভোকেট দেবাশীষ দেব শ্যামলু, এডভোকেট শাহ মুশাইদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন, ট্রাইবুনালের পিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড মালেক। মামলার বাদী মানবাধিকার কর্মী রাকেশ রায় মামলাটি পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতা করার জন্য বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, পূজা উদযাপন পরিষদ, জাতীয় হিন্দু মহাজোট ও এইচআরসিবিএম সিলেট এর নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।