তাহিরপুরে গরু চুরির ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা, এলাকা তোলপাড়
কামাল হোসেন, তাহিরপুরঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় গরু চুরির ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার শ্রেষ্টা করেছে স্থানীয় এক ইউপি চেয়ারম্যান এমন অভিযোগ এলাকাবাসী। জানাযায়, গত এক সপ্তাহ আগে আমতৈল গ্রামের লোকজন একটি চুরির গরুসহ চুরকে আটক করলে চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন বিষয়টি বিচার শালিসে শেষ করবে বলে গ্রামবাসীকে আশ্বাস দিলেও এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও বিষয়টি নিষ্পতি না কওে বিভিন্ন তালবাহানা করছে। চেয়ারম্যানের এসব নাটকিয়তায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে এলকায় শুরু হয়েছে তোলপাড়। স্থানীয় এলাকবাসী ও গরুর মালিক সূত্রে জানাযায়, উপজেলা সদও ইউনিয়নের রতনশ্রী গ্রামের হেলারের গরুর ঘর থেকে গত মাসের ২৭ মে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে হালকা লাল-কলো রঙ্গের প্রায় ৩০ হাজার টাকা মূল্যের একটি ষড় গরু চুরি কারে আমতৈল গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে মিষ্টার মিয়া (৩৪)। পরের দিন বুধবার একই উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের আমতৈল গ্রামের কালা মিয়ার বাড়িতে ওই গ্রামের সেলিম ও মুসলিম চুরি যাওয়া গরুটি দেখকে পেয়ে কালা মিয়ার ছেলে মিষ্টার মিয়া জিজ্ঞাস করলে সে ওই গ্রামের সিদ্দিক কসাই এর ববলে জানায়। পবে বিষয়টি সেলিম ও মুসলিম গ্রামের শতশত লোকজন নিয়ে কসাই সিদ্দিককে কাছে জানতে চাইলে সে এ বিষয়ে কিছুই জানেনা এবং তার কোন গরু মিষ্টারে কাছে নাই বলে গ্রামবাসীকে জানালে তাৎক্ষনিক গ্রামবাসী মিলে গরুটি উদ্ধার করতে চুর মিষ্টারে বাড়িতে গেলে চতুর চোর মিষ্টা মিয়া গরুটি অন্য জায়গায় সরিয়ে ফেলে। পরে ওই দিন সন্ধায় বাড়ির র্পাশবর্তী হাওড় থেকে গরুসহ চুর মিষ্টারকে গ্রামবাসী হাতে নাতে আটক করে থান পুলিশ ও উত্তর বড়দল চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিনকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানালে চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন ওই ইউনিয়নের ২ নং ওর্য়াড সদস্য ছাত্তর মেম্বারে নিকট গরুটি জিম্মা দিয়ে বিষয়টি শালিস বৈঠকে নিষ্পতি করার আশ্বস দেন। কিন্তু এ বিষয়টি এক সপ্তাহ গত হয়ে গেলেও চেয়ারম্যান রহস্য জনক কারণে বিভিন্ন তাল বাহানা করছেন। এব্যপারে আমতৈল গ্রামের ছায়েদ মিয়া,শিবলু মিয়া,মতিউর রহমান, জালাল উদ্দিন,সাবেক মেম্বার আব্দুল মান্নানসহ অনেকেই বলেন, আমরা চুরের বিচারের কথা জন সম্মুখে গ্রামের মধ্যে করতে বললেচেয়ারম্যান বিষয়টি দামা চাপা দিতে ইউনিয়ন অফিসে বিচারের কয়েটি তারিখ করে এক সপ্তাহ পার করে দেন। অবশেষে গতকাল বুধবার গরুর মালিক পক্ষেকে না জানিয়ে সকাল ১০ টার সময় শুধু মাত্র চুরের আতœীয় স্বজনকে নিয়ে বিচারে বসেন। গরুর মালিক রতনশ্রী গ্রামের শাহ আলম জানায়, গরু চুরি হওয়ার ৫ দিন পর জানতে পারি আমতৈল গ্রামের এক চুরের বাড়ি থেকে গ্রামের লোকজন গরুটি উদ্ধার করে রজনীলাইন গ্রামের ছাত্তর মেম্বারে নিকট জিম্মা দেয়। পরে আমরা মেম্বারের বাড়িতে গেলে চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন চুরের কটুর বিচার করবে বলে আশাস্ব দিয়ে এক সপ্তাহ ধরে বিচারের নামে নাটক করছে। এব্যপারে মেম্বার ছাত্তার মিয়া বলেন, চেয়ারম্যান মোবাইলে আমাকে বলেন, আমতৈল গ্রামের লোকজন আটক করছে। এবং সেখানে গিয়ে গরুটি আমার জিম্মায় আনতে বললে আমি গিয়ে গরুটি নিয়ে আসি। গতকাল বুধবার সরেজমিনে ইউনিয়ন অফিসে গিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার অফিসে চুরের কোন বিচার টিচার নাই। তার বাড়িতে ( চুর মিষ্টার) একটা গরু বাইন্দা রাখছে গ্রামের কিছু লোক আমাকে জানালে এসম তাদের সাথে (গ্রামের লোকদের সাথে চুরের) কথা কাটা কাটির এক পর্যায়ে হাত হাতি হয়। মূলত এ বিষয়টি মিট করা জন্যই আজকের এই বিচার ডাকা । এব্যপারে তাহিরপুর থানার ওসি আনিছুর রহমান খান বলেন, না আমি জানিনা। তবে এখনো কেউ অভিযোগ নিয়ে আসলে তদন্ত র্পূবক ব্যবস্থা নেয়া হবে।