৭২ ঘন্টায় মাদকের হাট বন্ধ করতে না পারায় ওসি ক্লোজড
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ আল্টিমেটামের ৭২ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও জুয়া ও মাদকের হাট বন্ধ করতে পারেননি দক্ষিন সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রঞ্জন সামন্ত। অবশেষে পুলিশ কমিশনার তার কথামত দক্ষিণ সুরমা থানার (ওসি) রঞ্জন সামন্তকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মিজানুর রহমান এ প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে মেট্রোপলিটন পুলিশের মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মুরছালিনকে।
গত শনিবার দক্ষিণ সুরমা থানা কম্পাউন্ডে অনুষ্ঠিত ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ মাদক ও জুয়ার আসর উচ্ছেদে পুলিশ কমিশনারকে আহ্বান জানান। এরপর ওসি রঞ্জন সামন্তকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে মাদকের হাট বন্ধ করতে আল্টিমেটাম দেন পুলিশ কমিশনার মিজানুর রহমান। অন্যথায় তাকে ক্লোজড করা হবে বলে হুশিয়ার দেন তিনি। কিন্তু ৭২ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এসব বন্ধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি ওসি। পুলিশ কমিশনারের বেধে দেয়া সময় মঙ্গলবার পার হলেও দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি রঞ্জন সামন্ত মাদকের আস্তানা উচ্ছেদে ব্যর্থ হন। চিহ্নিত আস্তানাগুলোতে তিনি কোন অভিযানও করেননি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় লোকজন। গত সোমবার রাতে তিনি রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান চালিয়ে কয়েকজন ভাসমান পতিতা ও মাদকসেবী আটক করেন। এই অভিযানকেই বড় সাফল্য হিসেবে দাবি ওসির।
ওসির এই ব্যর্থতা মেনে নিতে পারেননি কমিশনার মিজানুর রহমান। আল্টিমেটামের সময় পার হয়ে যাওয়ায় বুধবার সকালেই ওসি রঞ্জন সামন্তকে দক্ষিণ সুরমা থানা থেকে প্রত্যাহার করার চিঠি পাঠিয়ে দেন থানায়। বুধবার সকাল ১১টায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরে পদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে রঞ্জন সামন্তকে প্রত্যাহারের এ নির্দেশ দেন কমিশনার।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) রহমত উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন- ২৪ মে শনিবার ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠানে ওসিকে ৭২ ঘন্টা সময় দেওয়া হয়েছিল মাদক ও জুয়ার আসর উচ্ছেদে। তিনদিন অতিবাহিত হলেও ওসি কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় কমিশনার তাঁর কথা রেখেছেন।