ওসমানীনগরে মৃত্যুর আড়াই মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন
ওসমানীনগর প্রতিনিধিঃ ওসমানীনগরে মৃত্যুর আড়াই মাস পর ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে আসমত আলী (৭০) নামের এক মৃত ব্যাক্তির লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। তিনি থানার দক্ষিণ রাইদ দাড়া গ্রামের মৃত রিয়াছত আলী ছেলে। এ ঘটনায় এলাকায় যেমন চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে তেমনি লাশটি উত্তোলনের সময় এলাকার শ‘ শ‘ জনতার ভিড় ছিল লক্ষনীয়।
মামলার এজাহার ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, ওসমানীনগরে দনি রাইদ দাড়া গ্রামের মৃত রিয়াছত আলীর ছেলে লন্ডন প্রবাসী আসমত আলী তার শ্যালক একই গ্রামের আব্দুর রফিকের কাছে পাওনা টাকা চাইলে সে টাকা দিতে অপরগতা প্রকাশ করে। এ ঘটনায় আসমত আলী এলাকায় বিচার প্রার্থী হলে আব্দুর রফিক ও তার আত্মীয় স্বজনরা তার প্রতি ক্ষেপে উঠে। ওইদিন রাত সাড়ে ৮ টায় আব্দুর রফিক তার দুলাভাই আব্দুল বাসিতকে ঘর থেকে ডেকে গ্রামের মসজিদের সামনে নিয়ে সে ও তার অনুসারী রাসেল সাহেদ বেদড়ক পেঠায়। এ সময় তার চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর অবস্থার অবনিত হলে সিলেটের একটি প্রাইভেট কিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন। কিন্তু ওই সময়ে ময়না তদন্ত ছাড়াই তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের পুত্র নুরুল আমিন সাজু ৪/৫ জনকে অভিযোক্ত করে শাসরুদ্ধ করে তার পিতাকে হত্যার অভিযোগে থানায় একটি মামলা দয়ের করেন। দীর্ঘ তদন্তের এক পর্যায়ে দেখা গেছে ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের ফলে অসম্পূর্ণ তদন্ত হওয়ার আশংকায় কবর থেকে পুনরায় লাশটি উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করা প্রয়োজন জানিয়ে গত ৯ মে সিলেট জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস,আই রাকিব। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নিযুক্ত ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমানের উপস্থিতে ২ মাস ১২ দিন পর কবর থেকে লাশটি উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসাপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ওসমানীনগর থানার (ওসি) জুবের আহমদ বলেন, হত্যার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।