জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৫ তম জন্মজয়ন্তীতে মুক্তাক্ষর
আসানসোলের চুরুলিয়া গ্রামে ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ জন্মগ্রহণ করেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলা সাহিত্যের এই অবিস্মরণীয় ব্যক্তির ১১৫ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আবৃত্তি সংগঠন মুক্তাক্ষর আবৃত্তি আসরের আয়োচন করে। গত ২৫ মে ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই অস্থায়ী কার্যালয়ে বিকেল ৪টায় বিমল করের সভাপতিত্বে ও দিপীকা রানী দেবের পরিচালনায় আবৃত্তি পরিবেশন করে স্নেহা, শুভ, পুজা, অর্পা, ইসরাত, আদনিন, দিবা, বুশরা, ইসরাত তাবাস্সুম ও পূর্বা।
কাজী নজরুল ইসলামের লিচু চোর, প্রভাতী, খুকি ও কাঁঠ বেড়ালি, হোঁদুল কুঁৎকুতের বিজ্ঞাপন ও ঠাংফুলী দলীয়ভাবে আবৃত্তি পরিবেশন করে। সবশেষে কাজী নজরুল ইসলামের “আজি কাঁদে কাননে” গানটিকে লিখন রায়ের করিওগ্রাফিকে নৃত্য পরিবেশন করে প্রিয়াশ্রী কর পিউ।
সভাপতি তার বক্তব্যে ছোটদের উদ্দেশ্যে কাজী নজরুল ইসলাম সম্পর্কে বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম বিদ্রোহী সাম্যবাদী, প্রেমের কবি ও মানবতার কবি। ১৯১৯ থেকে ১৯৪১ সাল পর্যন্ত মাত্র ২২ বছরে তিনি ২২টি কাব্যগ্রন্থ, ২টি কিশোর কাব্য, ৩টি উপন্যাস, ৩টি গল্প, ৩টি নাটক, ২টি কিশোর নাটিকা, ৫টি প্রবন্ধ গ্রন্থ, ২টি চলচ্চিত্র কাহিনী, ২টি রেকর্ড নাট্য এবং কয়েক হাজার গান লিখেছেন। এরপর তিনি দূরারোগ্য পিকস ডিজিজে আক্রান্ত হয়ে আমৃত্যু স্তব্ধ হয়ে যান। তার উল্লেখযোগ্য বইয়ের নাম অগ্নিবীণা, দোলন চাঁপা বিষের বাঁশি, বাঙার গান, ঝিঙেফুল, সর্বহারা, সিন্ধ-হিন্দোল, ব্যথার দান, রাজবন্দির জবানবন্দী সহ আরো বেশ কিছু গ্রন্থ। বিজ্ঞপ্তি