৪৪৫ বছর পুরোনো মমিতে পাওয়া গেলো অসাধারণ এক চিঠি!
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ ৪৪৫ বছর পুরোনো মমির সাথে পাওয়া গেল এক আবেগ ও বিষাদ জড়িত চিঠি, চিঠিটি লিখেছে মৃত মানুষটির সন্তান সম্ভবা স্ত্রী। চিঠিতে লিখা ছিল আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারবোনা, তোমাকে ছাড়া আমার দুঃখেরও সীমা থাকবেনা। নামের ব্যক্তির মমিটি উদ্ধার করা হয় দক্ষিণ কোরিয়ার Andong শহর থেকে সেখানেই তাকে সমাধিস্থ করা হয়েছিল। মমির সাথে পাওয়া চিঠিটি যা ঐ সময়ে তার সন্তান সম্ভবা স্ত্রী কর্তৃক লিখা হয়েছিল এটি সত্যি মর্ম স্পর্শী ছিল। Eung-tae নামের ব্যক্তির মমিটি উদ্ধার হয় ২০০০ সালে এবং তখনই সেখান থেকে চিঠিটি ও উদ্ধার করা হয়। ২০০০ সালেই মমীর সাথে থাকা চিঠিটি অনুবাদ করা হয়।
৫ ফুট ৯ ইঞ্চি লম্বা Eung-tae নামের ব্যক্তির মমিটির সাথে পাওয়া চিঠিটির ঠিকানায় লিখা ছিল ‘Won’s father’। চিঠিটি মমির বুকের উপর রাখা ছিল, ধারণা করা হচ্ছে মমির স্ত্রী স্বয়ং এই চিঠি সেখানে রেখেছেন। চিঠিতে Eung-tae প্রতি তার স্ত্রীর প্রশ্ন ছিল কেন তিনি তাকে রেখে মারা গেলেন, Eung-tae কে ছাড়া তার স্ত্রী’র বেঁচে থাকা অনেক কষ্টের হবে। তিনি আরও লিখেন, “আমি বেঁচে থাকতে পারছিনা তোমাকে ছাড়া, অনুগ্রহ করে আমাকেও তোমার সাথে নিয়ে যাও তুমি যেখানেই আছো!”
গবেষকরা জানিয়েছেন মমিতে প্রাপ্ত চিঠিটি লিখা হয়েছে ১৫৮৬ সালের পহেলা জুনে। ঐ সময়ে Eung-tae ছিলেন কোরিয়ার Goseong Yi clan প্রাচীন বাসিন্দা। Eung-tae এর উচ্চতা বলে দেয় তিনি ঐ সময়ের অন্যান্য মানুষ থেকে লম্বা ছিলেন এবং তার মমির অবস্থা এবং ত্বক এখনও অনেক ভালোই আছে এতেই বুঝা যায় Eung-tae একজন সুস্থ এবং স্বাস্থ্যবান আদর্শ পুরুষ ছিলেন। গবেষকদের একজন Se-kwon Yim বলেন, মমিতে থাকা কালো ঘন গোঁফ বলে দেয় এই পুরুষ কতোটা বীর্যবান ছিলেন। মমির শরীর, চিঠি এবং সাথে থাকা জুতা জোড়া খুবি ভালো ভাবেই রক্ষিত রয়েছে।”
মমিতে দুই জোড়া জুতাও পাওয়া যায় যার কথা তার স্ত্রী চিঠিতে লিখেছেন আমি আমার চুল দিয়ে তোমার জন্য জুতা বুনে দিয়েছি, তুমি এসব পড়ার সময় যেন আমার কথা মনে কর। ধারণা করা হয় ঐ সময়ে মহিলারা স্বামীর মঙ্গল এবং রোগ মুক্তির জন্য নিজের চুল দিয়ে জুতোর ফিতা বানিয়ে দিতেন। গবেষকরা বলছেন এই মমি এবং সাথে থাকা বিষয় বস্তু থেকে পাওয়া তথ্য দিয়ে ঐ সময়ের বিষয়ে অনেক ধারণা পাওয়া যাবে, একই সাথে মমির সাথে লিখে দেয়া চিঠির মালিক আজ হয়ত মারা গেছেন কিন্তু তার লিখা রয়ে গেছে, এই চিঠি অপেরা শিল্পীদের জন্য ভালো একটি বিষয়বস্তু হতে পারে। তথ্যসূত্রঃ The Daily Mail