৭২ ঘন্টার মধ্যে জুয়া-মাদক বন্ধ না করলে ওসি ক্লোজড
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ দক্ষিন সুরমা থেকে জুয়া ও মাদক বেচাকেনা ৭২ ঘন্টার মধ্যে বন্ধ না করলে ওসিকে অপসারণ করা হবে। শনিবার দুপুর ১২টায় সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) দক্ষিণ সুরমা থানায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে এসএমপি পুলিশ কমিশনার মিজানুর রহমান এ কথা বলেন। সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌফিক বকস লিপনসহ স্থানীয়দের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রঞ্জন সামন্তকে উদ্দেশ্য করে পুলিশ কমিশনার বলেন- ‘রঞ্জন সামন্ত, তোমাকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে মাদকহাট উচ্ছেদ করতে হবে। তিনতাসের জুয়া বন্ধ করতে হবে। না হলে আমি উপস্থিত সবার সামনে ঘোষণা করছি- তোমাকে ৭২ ঘন্টার পর পরই আমি পুলিশ লাইনে ক্লোজড করে দেব।
এ সময় রঞ্জন সামন্ত মাদকহাট সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে চাইলে কমিশনার তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বলেন-আমি কোনো ব্যাখ্যা শুনতে চাই না। ৭২ ঘন্টার মধ্যে মাদকহাট বন্ধ দেখতে চাই। ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌফিক বক্স লিপন বলেন, দক্ষিণ সুরমার মাদকহাটগুলো থেকে সারা সিলেটে মাদক ছড়িয়ে পড়ে। এই মাদকহাটগুলোর জন্য ছিনতাই, রাহাজানি, ডাকাতি চরম আকার ধারণ করেছে।
পুরাতন ও নতুন রেলস্টেশন, কদমতলি বাসস্ট্যান্ড, ডগেরপাড়, চান্দের বাড়ি, ননির বাড়ি ও বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে মাদক, পতিতাবৃত্তি, তিনতাসের জুয়া সীমা ছাড়িয়ে গেছে। স্পটগুলোর মালিকদের নাম-ঠিকানাসহ দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর আমি লিখিতভাবে দেয়ার পরও পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। হিজড়া সুন্দরী’র নেতৃত্বে হিজড়ারাও মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছে।
সহকারী কমিশনার অপূর্ব সাহার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন উপ-কমিশনার মো. মুশফেকুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জেদান আল মুসা, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু জাহিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক হাজী রইছ আলী, মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হক, চেয়ারম্যান শেখ মখন মিয়া, হাবিব হোসেন, শ্রমিক নেতা আবু সরকার, সমাজসেবী দুলাল হোসেন, সাংবাদিক আহমদ আলী প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, দক্ষিণ সুরমার ৫টি ইউনিয়ন এবং ৩টি ওয়ার্ডে কমিউনিটি পুলিশের কমিটি গঠন করা হবে। নাজির বাজারে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। কীনব্রিজ, শাহজালাল সেতু, হুমায়ুন রশীদ চত্বর, বাবনা পয়েন্টের যানজট মুক্ত করা হবে। ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকায় ৮৫০ জন মানুষের বিপরীতে মাত্র একজন করে পুলিশ। অর্থাৎ আমাদের জনবল সংকট আছে। তথাপি পুলিশ মানুষের সেবায় সর্বদা তৎপর।