পুলিশ কতৃক ছিনতাইকৃত মোবাইল উদ্ধার করলেন মেয়র আরিফ
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ ঘটনাস্থল সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের নিকটবর্তী নাইওরপুল পয়েন্ট। আর সেখানে বসেই যানবাহনের কাগজপত্র দেখার নামে চালকদের হয়রানী করছে পুলিশ সদস্যরা। মামলা না দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে সাথে থাকা মোবাইল ফোন সহ মূল্যবান জিনিসপত্র। প্রতিদিনই এরকম অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে।বৃহস্পতিবার এমনই একজনকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। উদ্ধার করলেন মোবাইল, সেই সাথে সর্তক করে দিলেন অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের।
তখন সময় দুপুর সাড়ে ১১টা। মোটরসাইকেলে কুমারপাড়া থেকে উপশহর যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী কাউসার রশিদ তানভীর। পথিমধ্যে তার গাড়ির গতিরোধ করেন এ এস আই মফিজুল। এসময় তিনি পরীক্ষা করে দেখেন গাড়ীর সকল কাগজপত্র। কিন্তু সবকিছু ঠিকঠাক আছে দেখে ক্ষুব্ধ হন হেলমেটের জন্য। এ অবস্থায় ব্যবসায়ী তানভীর গরমের জন্য হেলমেট ব্যবহারের সমস্যার কথা বললেও তিনি তা শুনতে নারাজ। এক পর্যায়ে তিনি হেলমেট না আনার অপরাধে মামলা দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু এএসআই মফিজুল মামলা না দিয়ে তাকে দীর্ঘক্ষন আটকে রাখেন ঘটনাস্থলে। বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও মামলা না দিয়ে প্রায় ঘন্টাখানেক পরে গাড়ীর চাবি ও তার পকেটে থাকা মোবাইল ফোন নিয়ে যান এএসআই মফিজুল। এমন পরিস্থিতিতে তানভীর কোন উপায় খোঁজে না পেয়ে ধরণা দেন এসএমপি পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে। কিন্তু সেখানে গিয়েই কোনো কাজ না হওয়ায় তিনি বিচার-প্রার্থী হন সিটি মেয়র আরিফুল হকের কাছে। আরিফুল হক ঘটনাস্থলে গিয়ে এএসআইকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে তিনি তার পকেটে থাকা মোবাইল ফোন ও চাবি উদ্ধার করে ভবিষ্যতে এমন আচরণ থেকে বিরত থাকার কথা বলেন। এব্যাপারে কাউসার রশিদ তানভীর জানান, তিনি বারবার হেলমেট না আনার অপরাধে মামলা দেওয়ার কথা বললেও এএসআই মফিজুল মামলা না দিয়ে সময়ক্ষেপন করে থাকেন। এবং বারবার বলতে থাকেন জানেন এই মামলা হলে ২০০০ টাকা দিতে হবে। তবুও আমি রাজি, কিন্তু তিনি মামলা না লিখে আমাকে আটকিয়ে রাখেন, উদ্দেশ্য উৎকোচ। অবশেষে তা না পেয়ে আমার মোবাইল ও গাড়ীর চাবি জব্দ করেন। পরবর্তীতে মেয়র এসে তা উদ্ধার করে দেন।
এ প্রসঙ্গে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, হেলমেট না থাকার অপরাধে মামলা দিতে পারতেন ঐ পুলিশ সদস্য। কিন্তু তাকে বসিয়ে হয়রানি করা ঠিক হয়নি। এধরণের আচরণ পুলিশের প্রতি জনগণের অনাস্থা তৈরি হয়। ভবিষ্যতে তা থেকে বিরত থাকার আহবান জানান তিনি। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মুহম্মদ রহমতুল্লাহ বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। কেননা কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। সুতরাং কেউ অপরাধ করলে তাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে।