ভারতীয় নদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখেঁ দাঁড়াতে হবে
ফারাক্কা লংমার্চ দিবসে ভাসানী ফাউন্ডেশনের আলোচনায় বক্তারা
ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস উপলক্ষে গত ১৬ মে শুক্রবার বিকালে মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা নগরীর শাহজালাল উপশহরস্থ সিএসআইডি মিলনায়তনে ফাউন্ডেশনের সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ আশরাফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক দিদার ইবনে তাহের লস্করের পরিচালনায় অনুষ্টিত হয়। সভায় বক্তারা ১৯৭৬ সালের ১৬ মে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে অনুষ্টিত ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চের তাৎপর্য উল্ল্যেখ করে বলেন, মওলানা ভাসানী অন্যায় এবং ন্যায্য আদায়ের ব্যাপারে কখনো আপস করেননি। বাংলাদেশের পানির অংশিদ্বারিত্ব আদায়ের লক্ষে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী যে আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন বাংলাদেশের জনগণ আজও তা শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করছে। বাংলাদেশকে মরুভুমি বানানোর অপচেষ্টায় ভারতীয় আগ্রাসন একের পর এক নদী সমূহের প্রাকৃতিক জলস্রোতকে বিঘœ সৃষ্টি করছে। এরই মধ্যে টিপাইমুখ বাঁধ নির্মান করে বাংলাদেশের জিববৈচিত্র ও কৃষি খামারকে চিরতরে ধ্বংস করে দিতে চায় অথচ আমাদের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারনে আমরা ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। দেশের স্বার্থে ভারতীয় নদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সরকারকেই তীব্র প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে।
ফ্উান্ডেশনের সদস্য এড. সৈয়দ ফজলে এলাহির স্বাগত বক্তব্যে ও মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক মাসুমের পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সূচিত সভায় বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা বাবের সাবেক সভাপতি এড. এমাদউল্লাহ শহিদুল ইসলাম শাহীন, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এড. গিয়াস উদ্দিন, শিক্ষাবিদ লে. কর্ণেল (অব)সৈয়দ আলী আহমদ,মুক্তিযোদ্বা এড. মুজিবুর রহমান চেীধুরী,জিয়া পরিষদ সিলেট জেলার সভাপতি প্রকৌ. আশফাক আহমদ, এড. দেওয়ান মিনহাজ গাজী, রোটারিয়ান মঈন উদ্দিন চৌধুরী, ফাউন্ডেশনের সহ সভাপতি একেএম আহাদুস সামাদ, সাংবাদিক বশির উদ্দিন, জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন আহমদ, সাবেক চেয়ারম্যান মিসবাহুল কাদির ফাহিম, , অধ্যাপক ছুরাব আলী, প্রকৌ. মাহমুদুর রশিদ মসরুর, অধ্যাপক আবুল ফজল, তজম্মুল হোসেন চৌধুরী, তারেক চৌধুরী, আলী আক্তারুজ্জামান বাবুল, এম এ হাসিব, রুশেল রহমান রীজ, মোবারক হোসেন, সৈয়দ জিয়াউস শামস, মরহম উদ্দিন তাপাদার, আব্দুল আজিজ চৌধুরী, হাফিজ নুরুল আমিন, আনোয়ার হোসেন, আবেদ আক্তার চৌধুরী, হাফিজুর রহমান,সুহান আহমদ ও সায়হান আহমদ প্রমূখ।
সভায় গনভোটের মাধ্যমে সিলেটকে বাংলাদেশের আর্ন্তভূক্ত করার অবদান স্বরুপ মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর নামে সিলেটের একটি সড়কের নাম করন,মওলানা ভাসানি নভথিয়েটারের নাম পূর্নবহাল,মওলানা ভাসানীর নামে যমুনা সেতুর নাম করন এবং পাঠ্যপুস্তকে ভাসানীর জীবন ইতিহাস পূর্নবহাল করার দাবি জানানো হয়। সভা শেষে মওলানা ভাসানীর একান্ত অনুসারি সদ্য প্রয়াত রিফাকত হোসেন কমরেড এর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার পুত্র সুহান আহমদ ও সায়হান আহমদের নিকট ছবি সহ শ্রদ্ধাঞ্জলি তুলে দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি