ঢাকার শিল্পী মানেই ‘ফ্রি’!
সুরমা টাইমস বিনোদনঃ কলকাতার একটি স্বনামধন্য প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন ন্যান্সি। মাঝে কলকাতার একটি স্বনামধন্য প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে কলকাতা থেকে ঘুরেও এসেছেন তিনি। উদ্দেশ্য ছিল সেখান থেকে একটি অ্যালবাম প্রকাশের। তাও আবার নজরুলগীতির অ্যালবাম! শুধু নজরুলে সীমাবদ্ধ থাকলেও হতো। পুরো অ্যালবামটি সাজানোর কথা ছিল নজরুলসংগীতের হিন্দি ভার্সন দিয়ে। আর এমন একটি অসাধারণ অ্যালবামের জন্য সংশ্লিষ্টরা কলকাতায় ডেকে নিয়েছেন ঢাকার ন্যান্সিকে। তবে শেষতক সব পরিকল্পনা গোল্লায় গেছে বলে জানিয়েছেন ন্যান্সি। তিনি বলেন, অফার কিংবা উদ্যোগটি আমাকে দারুণভাবে বিমোহিত করেছিল। বলতে পারেন এমন পরিকল্পনার কথা শুনে আমি একরকম ছুটে গিয়েছিলাম সেখানে। অথচ একই পরিমাণ হতাশা আর বিরক্তি নিয়ে ঢাকায় ফিরতে হয়েছে। কারণ হিসেবে ন্যান্সি জানান, আসলে ওদের পরিকল্পনাটা অসাধারণ ছিল। আমি দারুণ সম্মানবোধ করেছি ওরা আমাকে ডেকেছেন বলে। আমি নিজেও এতোদিন ভাবতাম কলকাতা থেকে অ্যালবাম বের করা বোধহয় বেশ কষ্টসাধ্য। অনেকটা অডিশন দিয়ে পাস করার মতো। আরও ভাবতাম ওখান থেকে অ্যালবাম বের করলে বুঝি দাম-মান-সম্মান রাতারাতি বেড়ে যায়! আসলে সবই ছিল আমার ভ্রান্ত ধারণা। এ অ্যালবাম নিয়ে কথা বলে আমার তাই মনে হলো। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমি হিন্দি নজরুলগীতির অ্যালবামটি করছি না। ওদের প্রস্তাব আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়নি। বরং অর্থহীন মনে হয়েছে। ওদের বাজেট অনেক কম। এবার কলকাতা গিয়ে আমার যেটা উপলব্ধি হয়েছে তা হলো ঢাকার যে কেউ কলকাতায় থেকে চাইলেই অ্যালবাম বাজারে প্রকাশ করতে পারেন। প্রয়োজন শুধু ইচ্ছার। কলকাতা থেকে একরকম খারাপ অভিজ্ঞতা নিয়েই ঢাকায় ফিরেছেন ন্যান্সি। যা তার ভাষাতেই স্পষ্ট। সঙ্গে এটাও বলছেন, আমি গাইতে চাই। যে কোন গান। এ বিষয়ে আগ্রহের কোন ঘাটতি আমার মধ্যে নেই। তবে আমি কখনও এমন গান কিংবা অ্যালবাম করবো না, যেখানে একজন শিল্পীর ন্যূনতম মূল্যায়নও থাকে না। কলকাতার কাজটিকে আমার তেমনই মনে হয়েছে। ওদের একটা ধারণা হয়েছে, ঢাকার শিল্পী মানেই ‘ফ্রি’! আমি সেই ধারণায় খানিক ফাটল ধরানোর চেষ্টা করেছি। এদিকে কলকাতার প্রজেক্ট না হলেও আসছে ঈদে প্রকাশ পাচ্ছে ন্যান্সির নতুন একক।