হক্কানী আলেমদের অনুসরণের মাধ্যমে রাসূলে পাক (সাঃ) কে অনুসরণ করতে হবে
আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ
ছারছিনা দরবার শরিফের পীরে কামেল, মুজাদ্দিদে জামান, আমিরে হিযবুল্লাহ, আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ বলেছেন, আমরা নবী বা রাসূলের দেখা পাইনি, ছাহাবা, তাবঈন, তবে তাবঈনের কাউকে দেখি নাই। তাহলে কিভাবে নামাজ পড়তে হবে, কিভাবে রোজা রাখতে হবে, কিভাবে পর্দা করতে হবে, এসব আমরা শিখলাম কিভাবে ? হক্কানী ওলামায়ে কেরামগণই এসব আমাদেরকে শিখিয়েছেন। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ‘আলেমগণই নবীগণের উত্তরসূরী’। তাই এখন আমরা আলেমদেরকে অনুসরণ করতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে। সকল আলেমই নবীগণের ‘উত্তরসূরী’ নয়। তাই কোন আলেমের ইত্তেবা বা অনুসরণ করার আগে দেখতে হবে তিনি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের পূর্ণ অনুসারী কি না, তার আমল আখলাক, লেবাস-পোষাক, রাসূলের মত কি না। তিনি এবং তার পরিবারবর্গ নামাজ রোজার মত ফরজ পর্দার বিধান পালন করেন কি না। যদি করেন তবেই তাকে অনুসরণ করা যাবে, অন্যথায় করা যাবে না। নিজের জীবনের চেয়েও বেশী রাসুল (সাঃ)-কে মহব্বত করতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার সিলেট রেজিস্টারী মাঠে বাংলাদেশ জমইয়তে হিযবুল্লাহ সিলেট জেলা শাখা কর্তৃক আয়োজিত ঈসালে সওয়াব মাহফিল ও জমইয়তে হিযবুল্লাহ সম্মেলনে তিনি একথাগুলো বলেন।
ছারছীনা দারুস্সুন্নাত কামিল মাদ্রাসার সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল বিশিষ্ট মুনাজির আল্লামা মুফতি মোস্তফা হামিদী সাহেব বলেন, মানুষের ক্বলবে জং ধরে যায়। এই ক্বলবের চিকিৎসার জন্য পীর মাশায়েখগণের ছোহবত লাভ করতে হবে এবং জিকিরের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
ঢাকা নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবীদ আল্লামা ড. কাফিল উদ্দিন সরকার সালেহী বলেন, হযরত মাওলানা শাহ সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী (রহ.) এর এক হাতে ছিল তাসবিহ আর এক হাতে ছিল তরবারী। তিনি ছিলেন খাঁটি মোজাহিদ এবং সমাজ সংস্কারক। তার সিলসিলার অলি আউলিয়াগণ বাংলাদেশের একেক অঞ্চলে একেকজন দ্বীনের খেদমত করে যাচ্ছেন। আমরা তাদের অনুসরণ করতে হবে।
বিকাল ২টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত অনুষ্ঠিত মাহফিলে আরো ওয়াজ ফরমান, ছারছীনা দারুস্সুন্নাহ কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস হযরত মাওলানা রুহুল আমিন আফসারী সাহেব, ঢাকা দারুন নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস হযরত মাওলানা উসমান গণি সালেহী সাহেব।
হযরত মাওলানা বদরুজ্জামান রিয়াদ সাহেব এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত ঈসালে ছওয়াব উপলক্ষে নেছার আহমদ জামালের সম্পাদনায় বিশেষ ক্রোড়পত্র ‘নুরুছ ছালেহীন’ প্রকাশিত হয়।