নারায়াণগঞ্জ হত্যাকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী জড়িত
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ নারায়াণগঞ্জের ৭ খুনের সাথে সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জড়িত বলে দাবি করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ছাত্রদল আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ দাবি করেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিশেষ আদালতে স্থানান্তরিত করার প্রতিবাদে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ পড়ে এটা স্পষ্ট নারায়াণগঞ্জের হত্যার সাথে র্যাব জড়িত। কিন্তু শুধু র্যাবকে এককভাবে দায়ী করলে হবে না। কারণ এই হত্যাকা- সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে হয়েছে।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ৫ বছর আগে ক্ষমতা ছাড়বেন না। এই হুমকি দিয়ে কোন লাভ হবে না। কারণ আপনাদের ক্ষমতা থেকে সরতেই হবে। ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার আপনাদের নেই। জনগণের ভোটে আপনারা সরকার গঠন করেননি।
দেশে সকল অপহরণ, গুম ও হত্যার সাথে র্যাব জড়িত বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র এখন জনগণের নেই। রাষ্ট্র এখন পুলিশি, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট র্যাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে বলেন ফখরুল। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দুরে সরিয়ে দেওয়ার জন্য তার নামে দুদুক কর্তৃক মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করা করা হয়েছে। তার মামলা দায়রা জজ আদালত থেকে আলিয়া মাদ্রসার মাঠে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আব্দুল কাদের ভ্ইূয়া জুয়েলের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, আন্তুর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের ভূইয়া, ছাত্র-বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, নির্বাহী কমিটির সদস্য এ বি এম মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।