১৫ মে থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু

Chief Election Conspirerসুরমা টাইমস ডেস্কঃ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, ‘আগামী মে মাসের ১৫ তারিখ থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু হবে। ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারিতে যাদের বয়স ১৮ হবে তাদের ভোটার করা হবে। মোট তিন ধাপে ভোটার করা হবে। যারা আগে ভোটার হতে পারেননি তারা যেকোনো সময় ভোটার হতে পারবেন।’
সোমবার বিকালে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আগের চেয়ে এবার ভোটার সংখ্যা কম হবে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘আমাদের যে সব উপকরণ রয়েছে তা দিয়েই কাজ শুরু হবে। প্রচারণার মাধ্যমে আমরা বিষয়টি সবাইকে জানাব। যাতে সবাই ভোটার হওয়ার সুযোগ নিতে পারেন। মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তালিকা হালনাগাদের কাজ চলবে। আজ কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
নতুন ভোটার ও নারীদের সচেতন করতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। এছাড়া প্রবাসীরাও যাতে ভোটার হতে পারেন সে ভাবে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে কমিশন।
এসময় বরিশাল সদর আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি। তফসিল অনুযায়ী, রির্টানিং অফিসারের কাছে মনোয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ১১ মে, মনোনয়ন যাছাই-বাছাই ১৪ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২১ মে এবং ১২ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
কাজী রকিবউদ্দীন বলেন, ‘এ নির্বাচন নিয়ে আগামী ২৯ মে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সাথে বৈঠক হবে। অন্যান্য নিয়মাবলী সংসদ নির্বাচনের মত হবে।’
তিনি বলেন, ‘কেউ যদি দ্বৈত ভোটার হতে চান তাহলে তারা ভোটার হতে পারবেন। কারণ, আমাদের আইডেনটিফিকেশন সিস্টেমে তা ধরা পড়বে। এটা আইন অনুযায়ী অপরাধ। ধরা পড়লে জেল জরিমানাও হতে পারে। আমরা নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে ভোটার তালিকা করছি।’
স্মার্ট কার্ড তৈরির বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘জাতিসংঘের একটি শর্তের কারণে প্রকল্পটি চালু হয়নি। আমরা অধিকাংশ শর্ত পূরণ করেছি। তবে আমরা চাচ্ছি, ভালো মানের একটি কার্ড করতে একটু সময় লাগবে।’
ভোটার করার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং কার্ড হয়ে গেলে বাড়িতে গিয়ে বিলি করা হবে। এছাড়া যারা মিস করবেন তাদের রেজিস্ট্রেশন সেন্টারে এসে ফরম পূরণ করতে হবে।
কক্সবাজারে ভোটার করার ক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কক্সবাজারে যেহেতু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী রয়েছে সেহেতু সেখানে ভোটার হতে হলে দায়িত্বশীল কর্মকর্তার কাছ থেকে বাংলাদেশি নাগরিক হওয়ার যথাযথ প্রমাণ হাজির করতে হবে। না হলে ভোটার হতে পারবেন না।’