হত্যা মামলায় জব্ধকৃত গাড়ি চালাচ্ছে শাহপরান থানা পুলিশ
শাহ পরান থানার এএসআই প্রত্যাহার : তদন্ত কমিটি গঠন
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ আদালতের অনুমতি ছাড়া হত্যা মামলার আলামত হিসেবে জব্ধ করা গাড়ি ব্যবহারের কারণে গতকাল বুধবার প্রত্যাহার করা হয়েছে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে। গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। তদন্ত প্রতিবেদন বিপক্ষে গেলে শাস্তি ভোগ করতে হবে গাড়ি ব্যবহারকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের। প্রাইভেট ওই কার নাম্বার হচ্ছে (ঢাকা মেট্টো-গ-১১-২০৭১)।- এ নিয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রশাসনে তোলপাড় চলছে।
২০১২ সালের ১১ নভেম্বর খুন হন রাজমিস্ত্রী জমির আলী। সদর উপজেলার শাহপরান থানাধীন মোহাম্মদপুর এলাকার ‘বালিঙ্গা হাউজে’ জমির আলীকে খুন করে লাশ ফেলে দেওয়া হয় বড়জান চা-বাগানে। হত্যার পর জমির আলীর লাশ বহনে ব্যবহৃত প্রাইভেট কার জব্ধ করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার তৎকালীন ওসি শিবেন্দ্র চন্দ্র দাস জব্ধ তালিকায় হত্যা মামলার আলামত হিসেবে গাড়িটি উল্লেখ করেন। সম্প্রতি নগরীর বিভিন্ন রাস্তায় গাড়িটি চলাচল করতে দেখা যায়। এমনকি গাড়িটি টিলাগড় বখত সার্ভিসিং সেন্টারে নিয়েও রাখা হয়। সার্ভিসিং সেন্টার থেকে রোববার চালক ময়না মিয়া গাড়িটি নিয়ে বের হতে দেখা গেছে। ছাঁই রঙের গাড়ির পেছনে লেখা ছিল পিআর-৩৮/২০১৩।
স্পর্শকাতর বিষয়ে জব্ধ করা গাড়িটি ব্যবহারের বিষয়টি জানতে পেরে এসএমপি কমিশনার তাৎক্ষনিক গাড়ি ব্যবহারের কারণে শাহ পরান থানা থেকে প্রত্যাহার করে নেন এএসআই রিমন খানকে। পাশাপাশি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করছেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক খায়রুল ফজল।