১১ দফা দাবিতে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির প্রতিকী অনশন
সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ ১১ দফা দাবিতে প্রতিকী অনশন ও মহাপরিচালক বরাবরে দাবি পেশ করেছেন বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সিলেট মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের অফিসের সামনে সমিতির নেতৃবৃন্দ এ কর্মসূচী পালন করেন। প্রতিকী অনশন চলাকালে নেতৃবৃন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের চাকরির পদমর্যাদা একই শ্রেনীভুক্ত করে প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে সরকারি শিক্ষকদের বেতন স্কেল নির্ধারণ এবং সরাসরি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ বন্ধ করে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির সুযোগ প্রদানসহ ১১ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান।
প্রতিকী অনশন শেষে সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মহিউদ্দিন আহমদের কাছে ১১ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন নেতৃবৃন্দ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সিলেট মহানগর কমিটির যুগ্ম আহবায়ক জেসমিন সুলতানা ও মোছা. হাফছা আক্তার, সদর উপজেলা কমিটির আহবায়ক এসএম হাসিনা, যুগ্ম আহবায়ক নিকেতন দাস, মহানগর কমিটির সদস্য কল্পনা ভৌমিক, মিলন রানী দে, কাবেরী রায়, ইন্দ্রানী চক্রবর্তী, শিল্পী রায়, ফাহিমা ইয়াসমিন চৌধুরী, মনি দিপা দাশ, কল্পনা দেব, শিল্পী রানী দেব, শিলা রানী দাশ, হেপী দেবী, জান্নাতুল নাহার রুবি, সন্ধানী রায়, শাহানারা বেগম, রোজিয়া বেগম, সাথী বেগম, শাশতী চক্রবর্তী, অমিতা ধর, মোছামাৎ নাজমুন নাহার, ছিতারা ইয়াসমিন, আব্দুল মোতালিব, মো. আলী বেগ, অটল কান্তি তালুকদার প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে দেওয়া দাবিগুলোর মধ্যে
- (১) প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে বেতন বৈষম্য দূরীকরণে ২০০৫ সালের নীতিমালা অনুসরণ করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের ১ ধাপ নিচে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ও প্রশিক্ষনবিহীন প্রধান শিক্ষকদের ১ ধাপ নিচে প্রশিক্ষনবিহীন সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল নির্ধণ করা। অর্থাৎ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১২ এবং প্রশিক্ষণবিহীন সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১৩ নির্ধারণ করা।
- (২) সরাসরি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ বন্ধ করা এবং সহকারী শিক্ষক পদকে ‘এন্টি পদ’ ধরে যোগ্যতা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিভাগীয় পরীক্ষার মাধ্যমে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পদ পর্যন্ত শতভাগ পদোন্নতির সুযোগ প্রদান করা।
- (৩) আত্মীয়করণকৃত বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষককে সহকারী শিক্ষক পদে পদায়ন করে উপজেলাভিত্তিক সিনিয়রিটির ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি প্রদান করা।
- (৪)জাতির ভবিষৎ ঘঠনে শিক্ষকদের গুরুত্ব ও মর্জাদা নিয়ে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের চাকরী মর্যাদা একই শ্রেণী বৃত্ত করা।
- (৫) মাসিক সমন্নয় সভা উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কমিটি সহ জাবতিয় কমিটিতে সহকারী শিক্ষক প্রতিনিধি রাখা।
- (৬) প্রাথমিক বিদ্যালয শিক্ষকদের রেশনিং, আজিবন চিকিৎসা বিমা এবং শিক্ষক পরিবারের জন্য চিকিৎসা কার্ড এর ব্যবস্থা করা।
- (৭) সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা পরিবর্তন করে মহিলা পুরুষ নির্বিশেষে সকলের নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক ডিগ্রি নির্ধারন করা। তবে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত মহিলা পার্থীদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ এস সি নির্ধারন করা।
- (৮) বিদ্যালয়ের পাঠ দানের সময় সূচি ঢাকা মহানগরীতে সকাল ৭টা ৩০মিনিট থেকে দুপুর ১২:৩০ এবং ঢাকা মহানগরীর বাহিরে আগমনের সময় সকাল ১০টা হতে দুপুর ৩টা পর্যন্ত করা।
- (৯) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষদের অর্জিত ছুটির বিধান প্রনয়ন করা।
- (১০) শিক্ষক নিয়োগে পোষ্য কোটা ২৫% নির্ধারন করা এবং প্রাথমিক শিক্ষকদের সন্তানদের শিক্ষা ভাতা পরিমান যুক্তি সংগত বৃদ্ধি করা।
- (১১) সকল জেলা সহ মহানগরীতে চাকরীরত প্রাথমিক শিক্ষকদের পর্যপ্ত আবাসনের ব্যবস্থা করা।