জীবিতের খোঁজে তল্লাশি অব্যাহত
সুরমা টাইমস ইন্টারন্যাশনালঃ দক্ষিণ কোরিয়ায় ফেরি ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ প্রায় ৩শ’ যাত্রীর সন্ধানে তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে। বুধবার সাড়ে ৪শ’রও বেশি যাত্রী নিয়ে ওই ফেরিটি ডুবে যায়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৭৯ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ফেরিটির অধিকাংশ যাত্রীই ছিল একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক। তারা শিক্ষা সফরে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে। উদ্ধারকর্মীরা সারারাত ফ্লাডলাইট ব্যবহার করে জীবিতদের খোঁজে তল্লাশি চালিয়েছেন। তবে ডুবুরিরা ফেরিটির ভেতরে ঢুকতে পারেননি।
এদিকে নিখোঁজ যাত্রীদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা নেই বলে একজন জ্যেষ্ঠ উদ্ধারকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন। ফেরি ডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত আটজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। দেশটির সংবাদ সংস্থা ইয়োহাপ জানিয়েছে, নিহত আটজনের মধ্যে ১৭ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী, ২৫ বছর বয়সী এক শিক্ষক ও ২২ বছর বয়সী এক ফেরি কর্মী রয়েছেন। তবে নিহত বাকিদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে ইয়োহাপ জানিয়েছে। ফেরি ডুবির কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ফেরিটি সামান্য অংশ ছাড়া পুরোটাই ৯৮ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ফেরিটি পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দর ইনচিওন থেকে দক্ষিণাঞ্চলীয় পর্যটন দ্বীপ জেজুতে যাচ্ছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে দেশটির বিভিন্ন সমুদ্রবেষ্টিত দ্বীপের যোগাযোগের মাধ্যম ফেরি। দেশটিতে প্রতিদিনই শত শত ফেরি চলাচল করে। ১৯৯৩ সালে দেশটির পশ্চিম উপকূলে ফেরি ডুবে প্রায় ৩শ’ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। সম্প্রতি অবশ্য দেশটিতে ফেরি দুর্ঘটনা তেমন হয় না। তবে এই ফেরি ডুবির ঘটনা দক্ষিণ কোরিয়ার ২০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ নৌ দুর্ঘটনা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্র : বিবিসি।