সারিকার বিয়ে পন্ড : মাহিম ছিলেন সারিকার ইয়াবা পার্টনার
সুরমা টাইমস বিনোদনঃ মাহিম গোল্লায় যাওয়া বখাটে এক ছেলে। পারিবারিক অথবা সাংসারিক না। মাত্র ২৪ বছরের বাচ্চা ছেলে। লেখাপড়ায় খুব শিক্ষিত নয়। মিথ্যা বলা তার স্বভাব। এছাড়া একাধিক মেয়ের সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে জানা যায়। এমন ছেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেবো না। অতএব, বিয়ে প-।- কথাগুলো জানিয়েছে সারিকার পরিবার। অন্যদিকে মাহিম উল্টো সারিকার পরিবারকে হুমকি ধমকি দিচ্ছেন। নানাভাবে বিভিন্নজনকে বলছেন, সারিকার সঙ্গে তার বিয়ে হয়ে গেছে। তারা একসঙ্গে অনেকদিন সংসার করেছেন। কিন্তু সারিকার পরিবার তাকে সরিয়ে রেখেছে। মাহিম এ ধরনের কথা শুধু মুখে বললেও কোন কাবিননামা দেখাতে পারছেন না।
এদিকে এসব নিয়ে মানসিকভাবে অস্বস্তিতে আছেন সারিকার বাবা, মা ও ভাই। তারা বলছেন, উটকো ঝামেলায় পড়লাম। এ ধরনের ছেলেগুলোর পাল্লায় পড়েই সারিকার মতো মেয়েরা নষ্ট হয়। ফ্যাশনের নামে মেয়েদের জীবন নিয়ে ওরা খেলে আনন্দ পায়। আমাদের গার্জিয়ানদেরও দোষ আছে। প্রপার খেয়াল রাখা হয় না। যার জন্য আজ আমরা সাফারার।
মাহিমের সঙ্গে বিয়ের বিষয়ে সারিকার বাবা ও ভাই স্পষ্ট জানিয়েছেন, বিয়ের প্রশ্নই আসে না। তার আগেই আমরা মেয়েকে সরিয়ে এনেছি। মাহিম যতই বলুক বিয়ে করেছে, আমরা মানবো না। এছাড়া কোন প্রমাণও দেখাতে পারবে না সে। তবে হ্যাঁ, বিয়ের কথা ছিল। তার আগেই মাহিমের সব সত্য জেনে গেছি আমরা। এমন ছেলের সঙ্গে কিছুতেই মেয়ের বিয়ে দেবো না। ১৪ই মার্চ মাহিমের জন্মদিনে সারিকার বাসায় দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের দিন তারিখ চূড়ান্ত করা হয়। কথা ছিল ৪ঠা এপ্রিল মাহিম-সারিকার আকদ হবে। কিন্তু ১৫ মার্চ থেকেই সারিকা হাওয়া হয়ে যায়। তার কোন খোঁজ-খবর পাওয়া যায় না। তিনদিন পরে ১৭ই মার্চ মাহিমের বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। তারপর থেকেই সারিকার পরিবার সিদ্ধান্ত নেয় মাহিমের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেবে না। যে ছেলে বিয়ের আগে একটি মেয়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে, সেই ধরনের নিম্নরুচির ছেলের সঙ্গে কিছুতেই মেয়ের বিয়ে দেবে না বলে জানায় সারিকার পরিবার। তারা সারিকাকে বিভিন্ন ডাক্তারি পরীক্ষা করে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করেন। আর এ কারণে ক্ষেপে আছেন সারিকার হবু বর মাহিম। বিভিন্নভাবে বর্তমানে তিনি সারিকার পরিবারকে হুমকি ধমকি দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে সারিকা ঢাকার অদূরে একটি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন আছেন। সেখানে দুই মাসের আগে কারও সঙ্গে সাক্ষাৎ করার অনুমতি নেই বলে জানা যায়। মাহিম সেখানেও নানাভাবে যোগাযোগের চেষ্টা চালালেও কোন সুযোগ পাচ্ছেন না বলে জানা যায়।
জানা যায়, মাহিম প্রকৃত অর্থে ছিলেন সারিকার ইয়াবা পার্টনার। মাহিম নিজের যে পরিচয় দিয়েছিল তার সবই মিথ্যে। তার সঙ্গে থেকে সারিকা একেবারে রসাতলে গিয়ে ঠেকেছে। বাবা-মা এই ব্যাপারটি টের পেয়ে মাহিমের কাছ থেকে সারিকাকে সরিয়ে রিহ্যাবে ভর্তি করেছেন। ভালোবাসা মানুষকে গর্ত থেকে টেনে তোলে। কিন্তু ভালোবাসা সারিকাকে পাহাড়ের চূড়া থেকে গর্তে ঢুকিয়েছে। তার প্রামণ এতোক্ষণে হয়তো পেয়ে গেছেন সারিকা।