দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন : জেলা প্রশাসক
কানাইঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি ঃ সিলেটের জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেছেন, শিক্ষা ছাড়া কোন এলাকার উন্নতি সম্ভব নয়। এজন্য বর্তমান সরকার দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিটি ঘরে শিক্ষার আলো পৌঁছে দেওয়ার জন্য ছাত্র/ছাত্রীদের বিনামূল্যে কোটি কোটি পাঠ্য বই বিতরণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, প্রাথমিক পর্যায়ের সকল প্রতিষ্ঠানকে সরকারীকরনের পাশাপাশি শিক্ষকদের যথাযথ সম্মান প্রদানসহ বিভিন্ন যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় শিক্ষার হার দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি গ্রামীন পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সার্বিক উন্নয়ন সাধন ও শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে বৃত্তি প্রদানের পাশাপাশি তাদের সর্বক্ষেত্রে উৎসাহ যোগাতে সমাজ হিতৈশী ব্যক্তিবর্গদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় কানাইঘাট দুর্গাপুর স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ৫নং বড়চতুল ইউপির চেয়ারম্যান মুবশ্বির আলীর সভাপতিত্বে ও স্কুলের সহকারী প্রদান শিক্ষক মামুন রশিদ ও আব্দুর রাজ্জাকের যৌথ পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী শিল্পপতি মুজিবুর রহমান মানিক, কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া, অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্রিয়েটিভ ডেভেলাপমেন্ট সিলেট এর সাধারণ সম্পাদক শরিফ উদ্দিন আহমদ, হাতিম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইলাইচ মিয়া, স্কুলের প্রাক্তন সহকারী শিক্ষক সামছুল হক, ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম রানা। বক্তব্য রাখেন, দুর্গাপুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নুর মোহাম্মদ, স্কুল পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য আব্দুর রশিদ, আব্দুস সামাদ আজাদ। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি মোঃ শহিদুল ইসলাম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরষ্কার সামগ্রী এবং শিল্পপতি মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান, মানিক মিয়া কর্তৃক বড়চতুল ইউপির ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে এককালীন বৃত্তির অনুদান প্রদান করেন। এছাড়া জেলা প্রশাসক অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। প্রাক্তন শিক্ষক শামসুল হক স্কুলে মসজিদ নির্মাণের জন্য ৪শতক জমি দান করেন।