মাদারীপুরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ জেলার সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সিকি নওহাটা গ্রামে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে সরোয়ার হোসেন আকন নামে এক শিক্ষক ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ধর্ষণের অভিযোগে মাদারীপুর সদর থানায় মামলা হলেও এখনো তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এতে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে, আসামিপক্ষের লোকজন মামলা তুলে নিতে ধর্ষিতার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে বলে তারা জানিয়েছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সিকি নওহাটা গ্রামের আলি আহম্মদ আকনের ছেলে সরোয়ার হোসেন আকন (৩৫) সিকি নওহাটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি বাড়ির পাশের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়াতেন। এই সুযোগে ওই ছাত্রীর বাড়িতে প্রায়ই যাওয়া-আসা করতেন তিনি। গত বুধবার রাতে ওই স্কুলছাত্রীর মা বাড়ি না থাকার সুযোগে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে সরোয়ার।
পরে ধর্ষিতার চিৎকারে বাড়ির পাশের লোকজন আসলে সরোয়ার নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন রেখে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় মাদারীপুর সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে ধর্ষিতার পিতা। ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীর মা বলেন, ‘আমার মেয়েকে সরোয়ার গত তিন বছর ধরে প্রাইভেট পড়িয়েছে। সেই সুযোগে সে প্রায়ই আমাদের বাড়িতে আসতো। আমি বাড়িতে না থাকায় সে আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘এখন কিভাবে এই মেয়েকে বিয়ে দেব? গ্রামের মানুষ আমার মেয়েকে দেখলে হাসে। লজ্জায় মুখ দেখাতে পারি না। আমি এই ধর্ষকের বিচার চাই।’
ধর্ষিতার পিতা বলেন, ‘মামলা তুলে নিতে আমাকে সরোয়ারের ভাই হুমকি দিয়েছে। মামলার পরেও পুলিশ আসামি গ্রেপ্তার করছে না। এ অবস্থায় পরিবার নিয়ে শঙ্কার মধ্যে আছি।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাদারীপুর সদর থানা এসআই আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এলাকার লোকজন আমাকে বলেছেন, সরোয়ার ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে।’
মাদারীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ। আসা করি শিগগিরই তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব।’
মাদারীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ উঠায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয় ভেবে দেখা হচ্ছে।’