আদালতের নির্দেশে এজাহার নিল ওসমানী নগর থানা : আসামী গ্রেফতারে তৎপরতা নেই
ওসমানী নগর প্রতিনিধিঃ ঘটনার প্রায় পনেরো মাস পর আদালতের নির্দেশে এক অসহায় মহিলার এজাহার নিল ওসমানী নগর থানা। আদালতের নির্দেশ পেয়ে বাধ্য হয়ে এজাহার নিলেও আসামী গ্রেফতারে কোন তৎপরতা নেই ওসমানী নগর থানা পুলিশের। ১৬ জন আসামীর প্রত্যেকেই প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদের ধরার কোন চেষ্টা করছে না ওসমানী নগর থানা। জানা যায়, গত বছর ছয় জানুয়ারী দিবাগত রাতে পারিবারিক দ্বন্ধের জের ধরে ওসমানী নগর থানার রাউতখাই গ্রামের রাজিয়া বেগমের বসত বাড়ির সীমানা দেয়াল ভাঙতে শুরু করে রহমান উল্যাহের নেতৃত্বে একদল লোক। মধ্য রাতে দেয়াল ভাঙার শব্দ শুনে ঘুম থেকে ওঠে রাজিয়া বেগম প্রতিবেশিদের নিয়ে রহমান উল্যাহ‘র নেতৃত্বাধীন হামলাকারীদের বাধা প্রদান করেন। এসময় হামলাকারীরা লাঠি, লোহার রড নিয়ে তার ওপর চড়াও হয় এবং তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। প্রায় ১০৬ ফুট সীমানা দেয়াল ভাঙার পর রাজিয়া বেগম কে হুমকী ধামকী দিয়ে হামলাকারীরা ঘটনা স্থল ত্যাগ করে। পর দিন অসহায় রাজিয়া বেগম এই নির্যাতনের প্রতিকার চেয়ে ওসমানী নগর থানার স্মরনাপন্ন হন। থানায় রহমান উল্যাহর নেতৃত্বাধীন হামলাকারীদের নামে মামলা দায়ের করতে চাইলে থানা মামলা নেয়নি। এরপর রাজিয়া বেগম আদালতের দারস্ত হন। দীর্ঘ প্রায় পনেরো মাস পর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, সিলেট এর নির্দেশ গত ৩০ মার্চ মামলাটি গ্রহন করল ওসমানী নগর থানা। মামলায় রাজিয়া বেগম বাদী হয়ে রাহমান উল্যাহ, মাহমুদ উল্যাহ, তোতা মিয়া, মুক্তার আলী, জাহাঙ্গীর আলী, আতাউর, হাবিব, মুজিব, সাবেল, সিরাজ মিয়া, আফরোজ আলী, আমির আলী, শফিকুল, ধন মিয়া, মনাফ, সোহেলের নাম উল্ল্যেখ করে অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনকে আসামী করেছেন। এজাহার দায়েরের প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেলেও ১৬ জন আসামীর একজনকেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের এই নির্বিকার ভূমিকাকে বাদীসহ অনেকেই বলছেন রহস্য জনক। রাজিয়া বেগম জানান মামলা দায়েরের পরও আসামীরা গ্রেফতার না হওয়ায় তিনি আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। তিনি জানান আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে কিন্তু পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। এলাকাবাসী আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে পুলিশকে আহবান জানিয়েছেন।