প্রেমিকার ঘরে ডেটিং করতে গিয়ে কথিত সাংবাদিক গণধোলাইয়ের শিকার
বিয়ানীবাজার প্রতিনিধিঃ বিয়ানীবাজার উপজেলার পল্লীতে এক প্রেমিক জুটি পাকড়াও করেছে গ্রামবাসী। এসময় প্রেমিক প্রেমিকার ঘরে ডেটিংরত ছিল বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
এ ঘটনায় মেয়েটির আত্মীয়স্বজন এবং গ্রামবাসী প্রেমিককে গণধোলাই দিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে সোর্পদ করেন। প্রেমিক আলী হোসেন নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে জানায়, সে ইত্তেফাকের বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি দুবাগের আব্দুল খালিকের ভাতিজা। তবে বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাব জানিয়েছে, আলী হোসেন নামের কোন সাংবাদিক বিয়ানীবাজারে নেই। অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন সময় সাংবাদিক পরিচয়ে সে উপজেলায় দাপটের সাথে অসামাজিক কার্যকলাপ চালাচ্ছে। এখন সে তিলপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানের হাওলায় রয়েছে।
সুত্র জানিয়েছে, সোমবার উপজেলার তিলাপাড়া ইউপির মাটিজুরা গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারের এক কিশোরীর সাথে (অপর সূত্র জানিয়েছে, কিশোরীর বাড়ি নবাং। তিলপাড়া তার নানা বাড়ি) একই উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের মেওয়া গ্রামের কথিত সাংবাদিক আলী হোসেনের পরিচয় হয়। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আলী হোসেন মেয়েটির বাড়ীতে নিয়মিত যাতায়াত করতো এবং মেয়েটির সাথে ডেটিং করতো বলে অভিযোগ। মেয়েটির সাথে আলী হোসেন স্বামীর স্ত্রীর মত সম্পর্ক গড়ে তুলে। বিষয়টি এলাকাবাসী অবগত হলে এ নিয়ে শুরু হয় নানা গুঞ্জন। সোমবার সকাল ১০ টায় আলী হোসেন মেয়েটির ঘরে প্রবেশ করলে এলাকাবাসী তা দেখে ফেলে। সারাদিন তারা একত্রিত হয়ে একই ঘরে কাটায়। সন্ধ্যায় এলাকার লোকজন মেয়েসহ আলী হোসেনকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখেন। পরে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করলে চেয়ারম্যান দু’জনকে তার জিম্মায় নিয়ে আসেন। রাত ৯ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রেমিক জুটি তিলপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের হেফাজতে রয়েছেন।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জানান, উভয় পরিবারের লোকদের ঘটনাটি জানানো হয়েছে। তবে ছেলেটির অভিভাবকরা আসেন নি। চেয়ারম্যান মাহবুব জানান, আলী হোসেন নিজেকে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়েছে। সে এও বলেছে তার চাচা আব্দুল খালিক দৈনিক ইত্তেফাকের বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি। তবে রাতে এ রিপোর্ট লেখার সময় সাংবাদিক আব্দুল খালিকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।