অবৈধ ফি প্রত্যাহারের লক্ষ্য এমসি কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে শিক্ষার্থীদের আলোচনা ব্যার্থ

sylhet MC Collegeএমসি কলেজের ২০১১ সালের মাস্টার্স শেষ পর্বের আইসিটি বিভাগের ফরম পূরণ কার্যক্রমে অবৈধ ফি প্রত্যহারের লক্ষ্য গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১.৩০ কলেজে অধ্যক্ষের অফিস কক্ষে কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে সংশ্লিষ্ট ছাত্র প্রতিনিধিদের সাথে এক আলোচনা বৈটক অনুষ্টিত হয়। কলেজ সুত্রে জানা যায়, সভায় এ সময় ছাত্রদের পক্ষে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিরন মাহমুদ নিপু প্রতিনিধিত্ব করেন । হিরন মাহমুদ নিপু জানান তিনি প্রত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারেন যে কলেজে অবৈধ ফি প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলনে নেমেছে। তিনি তা অবহিত হয়ে আন্দোলন কৃত ছাত্রদের সাথে যোগাযোগ করেন। পরে তাদেরকে নিয়ে অধ্যক্ষের সাথে দেখা করতে গেলে অধ্যক্ষ থাকে প্রথমে একা আসার জন্য বলেন। তখন তিনি বলেন আমি কলেজের ছাত্র এবং আমি ছাত্রদের সাথে এসেছি। তাই আমি ছাত্রদের বাদ দিয়ে আসতে পারি না। ঐ প্রেক্ষিতে বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্য হিরন মাহমুদ নিপু ছাত্রদের সাথে নিয়েই অধ্যক্ষের সাথে আলোচনায় বসেন। বিভ্ন্নি আলাপ আলোচনার পর তাৎক্ষনিক ফলফসু সিদ্ধান্তে উপনীত হতে না পারায় আগামী শনিবার ৯ টার মধ্যে একটি ফলপ্রসূ সিদ্ধান্তে পৌছে যাবে বলে উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের তিনি আশ্বস্থ করেন। আন্দোলন কারী শিক্ষার্থীরা বলেন শনিবার ৯টার মধ্যে আমাদের দাবি না মানলে আমাদের আন্দোলন চলবে। তারা অভিযোগ করে বলেন, কলেজের স্যাররা সরকারী কলেজের শিক্ষক হিসাবে সরকারের জাতীয় বেতন স্কেল থেকেতো বেতন ভাতা পাচ্ছেন। এরপরও আবার একই কলেজে ক্লাস নিতে গিয়ে বার্তি বেতন দাবি করেন কেনও? তাছাড়া শিক্ষকরা ক্লাস না নিতে চাইলে সরাসরি অপরাগততা প্রকাশ করেন না কেনও ?

তাছাড়া কলেজের একটি সুত্রে জানা যায়,সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের আন্দোলনকে নস্যাৎ করার লক্ষ্য অধ্যক্ষ রাজনীতিক ছাত্র সংগঠনকে ব্যবহার করার অপ্রপ্রয়াস চালাচ্ছেন। তবে এই বিষয় নিয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হলে,তারা বলেন অতিতে আমরা ছাত্রদের সাথে ছিলাম বর্তমানে রয়েছি এবং ভবিষ্যতে থাকবো। আর কলেজ কৃর্তপক্ষের কারো সাথে আমাদের কথা হয়নী।
এ ব্যপারে কলেজের অধক্ষ্য প্রফেসর ধীরেশ চন্দ্র সরকারের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমি ছাত্রছাত্রীদের কে বলেছি বেতন ২৪০০ টাকা পরিবর্তে ১২০০ টাকা পর্যন্ত নিতে পারবো। তারা আমাকে পরে জানাবে বলে জানায়। এবং কলেজে আমার সব ছাত্র, কে কোন সংগঠন করল তা আমি জানি না। আপনারা যা শুনছেন তা ভিক্তিহীন।
প্রসঙ্গত এমসি কলেজের মাষ্টার্স শেষ পর্বের ফরম পূরণে কলেজ অধ্যক্ষ সম্পন্ন মনগড়া ভাবে আইসিটি ফরম পূরনে বেতন বাবদ ২৪০০ টাকা ও নিয়ম বহির্ভতভাবে ১০০ টাকা এবং অনলাইন প্রসেসিং ৫০ টাকা সহ মোট ২৫৫০ টাকা নির্ধারন করায় শিক্ষার্থীরা গত মঙ্গলবার থেকে আন্দোলন করে আসছে।।