সুনামগঞ্জে ১টি কেন্দ্রে টেবিল কাস্ট, অপর দুই কেন্দ্রে মারামারি
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় চতুর্থ দফায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৬৪টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১টি কেন্দ্রে টেবিল কাষ্ট ভোট প্রদান, অপর দু’প্রার্থীর এজেন্টদের মারধর ও বের করে দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি ও তার লোকজনরা। অপর আরো ১টি কেন্দ্রে টেবিল কাষ্ট ভোট প্রদান করতে গেলে ঔ কেন্দ্রে বেলা ১টা থেকে ভোট গ্রহন বন্ধ রাখা হয়।
রবিবার সকাল ১১ টায় সেলবরষ ইউনিয়নের সেলবরষ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে সরকার দলীয় স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি ও তার সমর্থিত প্রার্থী শামীম আহমদ মুরাদের লোকজন বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মোতালেব খাঁন ও আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শামীম আহমদ বিলকিসের এজেন্টদের ভোট কেন্দ্র থেকে জোর পূর্বক বের করে দিয়ে কয়েক’শ ভোট টেবিল কাষ্ট করেন।
এ সময় এমপির লোকজন ইউপি চেয়ারম্যান আলী আমজাদ, ইউপি সদস্য হামিদুল হক রতন, বিএনপি নেতা সোনা মিয়া ও ময়না মিয়াকে মারধর করে। পরে সাধারন ভোটাররা বিক্ষুদ্ধ হয়ে ভোট কেন্দ্র ঘেরাও করলে পুশিশী প্রহরায় সাংসদ ভোট কেন্দ্র ছেড়ে যান।
বেলা ১১ টার এ ঘটনার পর ভোট গ্রহন বন্ধ থাকার পর পুনরায় এ কেন্দ্রে বেলা ১ টায় আবার ভোট গ্রহন শুরু হয়। কেন্দ্রের বাহিরে বেশ কিছু ব্যালট পেপার ও কয়েকটি ব্যালট পেপারের মুড়ি মুরি পড়ে থাকার কেন্দ্রের নিরাপক্তা কাজে দায়িত্বপালন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তা সংগ্রহ করে সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দেন।
এদিকে পাইকুরাটি ইউনিয়নের বালিজুরি ভোট কেন্দ্রে ফের সাংসদ নিজে গিয়ে তার সমর্থিত প্রার্থী শামীম আহমদ মুরাদের পক্ষে কর্মী সমর্থকদের দিয়ে টেবিল কাষ্ট ভোট দিতে গেলে অন্যান্য প্রার্থীদের কর্মী সমর্থক এবং এজেন্টেদের মধ্যে উক্তেজনা দেখা ছড়িয়ে পড়লে প্রিসাইডিং অফিসার প্রাণতোষ সরকার বেলা ১টার দিকে ঐ কেন্দ্রে ভোট গ্রহন বন্ধ রাখেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ খালেদুর রহমান ঐ কেন্দ্রে পুন:রায় ভোট গ্রহন চালু করতে গেলে প্রিসাইডিং অফিসার অপারগতা প্রকাশ করেন।