লালদিঘী মার্কেটে ঝুকিপূর্ণ ভবন ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু

Sylhet City Market Crashসুরমা টাইমস রিপোর্টঃ সিলেটের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত লালদিঘী হকার্স মার্কেটের অবৈধ স্থাপনা ও ঝুকিপূর্ন ভবন উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। শনিবার বেলা ১২ টা থেকে লালদিঘী নতুন মার্কেটের ‘বি’ ব্লকে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে এই অভিযান শুরু করা হয়। এসময় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সম্মানিত কাউন্সিলরবৃন্দ, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ‘বি’ ব্লকের অবৈধভাবে গড়ে উঠা বিভিন্ন স্থাপনা এসময় বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। 
অভিযানকালে লালদিঘী নতুন মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাঈদ ইকবাল বলেন, ‘লালদিঘী নতুন মার্কেটটি অপরিকল্পিতভাবে তৈরী করার বছরের পর বছর থেকে তাদেরকে এর খেসারত দিতে হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এমনও অনেক ব্লক আছে যে ব্লকগুলোতে নোংরা পরিবেশ ও অন্ধকারের কারণে দিনের বেলায় যেতেও ভয় লাগে। মাদকদ্রব্য বিক্রি করা ছাড়াও অসামাজিক কার্যকলাপের স্পট হয়ে উঠেছে একাধিক ব্লক। এছাড়াও ভবন নির্মানের সময় নিম্নমানের কাজ করার কারণে ভবনগুলো হয়ে পড়েছে ঝুকিপূর্ণ।’
মেয়রকে কাছে পেয়ে এরকম অনেক অভিযোগ তুলে ধরেন লালদিঘী মার্কেটের ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা। এসময় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘লালদিঘী মার্কেটের হতশ্রী অবস্থা দেখে আমি বিস্মিত। এরকম নোংরা পরিবেশে ব্যবসা করা তো দূরের কথা, একজন স্বাভাবিক মানুষ এখানে দীর্ঘসময় থাকলে অসুস্থ হয়ে যাবে। সুতরাং এই মার্কেটের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও ঝুকিপূর্ন ভবন ভেঙে ফেলে এখানে পরিকল্পিত উপায়ে মডার্ন মার্কেট নির্মান করতে হবে।’ মেয়র বলেন, ‘এখানে বহুতল বিশিষ্ট সুপরিসর মার্কেট তৈরী করা হলে যেসব হকার উচ্ছেদ করা হচ্ছে তাদেরকেও সুন্দরভাবে পুনর্বাসন করা সম্ভব হবে।’
উল্লেখ‌্য, ১৯৭৪ সালে পুরাতন লালদিঘী মার্কেটের কাজ শুরু হয়। পরবর্তীতে দ্বিতীয় পর্যায়ে লালদিঘী নতুন মার্কেটের কাজ শুরু হয় ১৯৭৯ সালে। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে ধাপে ধাপে লালদিঘী মার্কেট এলাকায় বিভিন্ন ব্লকের আওতায় নতুন নতুন ভবন নির্মান করা হয়। বর্তমানে ‘এ ‘বি ‘সি ‘ডি চারটি ব্লকে লালদিঘী নতুন মার্কেটে প্রায় ৬ হাজার দোকান কোঠা আছে। এছাড়াও পুরাতন লালদিঘী মার্কেটে দোকান কোঠার সংখ্যা প্রায় একহাজার।