এরশাদের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। তবে চাঁদার এই টাকা হাতে পৌঁছেনি তার । চেয়ারম্যানের নাম ভাঙ্গিয়েছেন দলের এক প্রেসিডিয়াম সদস্য। আর ওই নেতার বিরুদ্ধে এরশাদের নির্দেশে তদন্তও হয়েছে।
জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহনগর উত্তরের সভাপতি এস এম ফয়সাল চিশতী এরশাদের নাম ভাঙ্গিয়ে রাজধানীর কড়াইল বস্তি থেকে প্রায় ২৫ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করেন। চাঁদাবাজির এ অভিযোগে জাপার ওই নেতার বিরুদ্ধে দলের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হয়। কড়াইল বস্তি এলাকা Ershad-sathiএরশাদের সংসদীয় এলাকা হওয়ায় বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই তদন্ত করা হয়। আর তদন্তে অভিযোগের সত্যতাও পায় তদন্ত কমিটি।
তদন্ত কমিটির সমন্বয়কারি সদ্য প্রয়াত জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্রিগেডিয়ার (অব:) কাজী মাহমুদ হাসান। কমিটির একজন সদস্য জাতীয় যুব সংহতিহর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাসিবুল ইসলাম জয়। তাদের তৈরী করা তদন্ত প্রতিবেদনটি এরশাদের হাতে তুলে দেন জয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, কড়াইল বস্তির পূণর্বাসন প্রকল্পের সাড়ে ৫১ লাখ টাকা ভাগ বাটোয়ারা করা হয়েছে। এরমধ্যে ফয়সাল চিশতী ২৫ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন বলে সাক্ষ দিয়েছেন হাসিবুল ইসলাম জয়। তিনি নিজেও ১০ লাখ টাকা নেন বলে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। যদিও জয় টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। এই টাকা পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স থেকে এরশাদের নামে উঠিয়ে হাতিয়ে নেন ফয়সাল চিশতীসহ একটি চক্র।
তবে তদন্ত প্রতিবেদনের জবানবন্দীতে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন ফয়সাল চিশতী। তিনি বলেন, জয় একজন খুনি। আর এই টাকা আমি নয়, সে মেরে দিয়েছে। পরে আমার নামে মিথ্য অভিযোগ তুলেছে।
তবে এ ব্যাপারে ফয়সাল চিশতী এটিএন টামসকে বলেন, কড়াইল বস্তির এই টাকা সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই। তবে যদি অভিযোগ উঠে থাকে তা সত্য নয় বলেও মন্তব্য করেন। হাসিবুল ইসলাম জয় বলেন, ফয়সাল চিশতী এরশাদের নাম করে এই টাকা আত্মসাত করেছে। যা তদন্ত কমিটি প্রমাণও পেয়েছেন। এছাড়া ঢাকা-১৭ আসনের বরাদ্ধকৃত টিআর আত্মসাত, বনানী বিদ্যা নিকেতনের সরকারি অনুদান আত্মসাত ও ভর্তি বাণিজ্যের অভিযোগও উঠে আসে তদন্ত প্রতিবেদনটিতে।