সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে হাইওয়ে পুলিশের ঘুষ বাণিজ্য
ফকির হাসানঃ সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে হাইওয়ে পুলিশ দীর্ঘদিন থেকে ঘুষ বাণিজ্য করে যাচ্ছে। বিভিন্ন ধরণের প্রায় সহস্রাধিক যানবাহন থেকে মাসোহারা লক্ষা-লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করছে হাইওয়ে পুলিশ। অনুসন্ধানে জানা গেছে, সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের দক্ষিণ সুনামগঞ্জের জয়কলস হাইওয়ে পুলিশ ফাঁিড়র বর্তমান ছাতকের জালালপুর বধির গাঁওয়ে অবস্থানরত ইনচার্জ নজরুল ইসলাম এ সড়কে চাঁদাবাজি করে আসছে। সড়কের লামাকাজী এলাকা থেকে সুনামগঞ্জ শহর পর্যন্ত তার নেতৃত্বে প্রতিদিন যানবাহনে বৈধ কাগজপত্র চেকিংয়ের নামে বিভিন্ন চালকদের কাছ থেকে নিরবে চাঁদা আদায় করেই চলছে। আর এসব মাসোহারা চাঁদা আদায়ে পুলিশের পাশাপাশি ষ্ট্যান্ডের কিছু অসাধু শ্রমিকনেতারা নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত নির্ধারিত টোকেনের মাধ্যমে চাঁদা আদায় করে আসছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অটো-টেম্পু, অটো-রিকশা, সিএনজি, ফোরষ্ট্রোক, ট্রাক, মিনিবাসসহ সড়কে চলাচলকারী ছোট-বড় বিভিন্ন ধরণের যানবাহন চালকরা অভিযোগ করে বলেন, সড়কের সিরাজপুর কাজীবাড়ি, গোলচন্দবাজার, বুড়াইরগাঁও পয়েন্ট, গোবিন্দগঞ্জ পাম্প, ধারণ নতুন বাজার, বুকার ভাঙ্গা, জাতুয়া, কৈতক, চেচান, বড়কাপন, পাগলা, জয়কলস, আহসানমারা, ডাবর, দামোধরতপীসহ বিভিন্ন এলাকায় চেক পোষ্ট বসিয়ে অটো-টেম্পু, অটো-রিকশা, ফোরষ্ট্রোক সহ বিভিন্ন যানবাহন চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির কাগজপত্র চেকিংয়ের নামে মোটা অংকের টাকা পকেস্থ করছে হাইওয়ে ইনচার্জ নজরুল। রাস্তার ব্যরিকেড দিয়ে গাড়ি আটকিয়ে কৌশলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চালকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার ভয়তীতি দেখিয়ে আদায় করে বিপুল পরিমান টাকা। এভাবে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গাড়ি আটকের অভিযান চালানো হয়। এতে খেটে খাওয়া অসহায় গাড়ি চালকদের শ্রমের টাকায় হাইওয়ে পুলিশের পকেট স্ফীত হচ্ছে। মামলার ভয় দেখিয়ে চালকদের কাছ থেকে ১শ’ থেকে ২হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করছে হাইওয়ে পুলিশ। সড়কের ২০-২২টি ষ্ট্যান্ড’র অধীনে ৬-৭হাজার যানবাহন থেকে নির্ধারিত টোকেনের মাধ্যমে মাসোহারা আদায় করে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ নিরব চাঁদাবাজিতে চ্যাম্পিয়ন বলে মনে করেন, যানবাহনের চালকরা।
এব্যাপারে হাইওয়ের দায়িত্বরত ইনচার্জ নজরুল জানান, হাইওয়ে পুলিশ প্রতিদিন চেকপোষ্ট বসিয়ে উৎকোচ আদায়ের আনীত অভিযোগ সত্য নয়। কাগজপত্র যাচাইয়ের নামে কেউ যেন হয়রানী না হয় এব্যাপারে তিনি সতর্কতা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্বপালন করে যাচ্ছেন।