জবাইকৃত গ্রুর চামড়া দেখে চুর পাকড়াও : থানায় মামলা
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ খাদিমনগর উপজেলায় গরু চুরি করে জবাইয়ের পর মাংস বিক্রিকালে চুরি হওয়ার গরুর সন্ধান পেয়ে গেলেন গরুর মালিক। এ ঘটনায় মামলার প্রেক্ষিতে এক চুরকে আটক করেছে বিমানবন্দর থানার পুশিল। গরুর প্রকৃত মালিক জবাই করা গরুর চামড়া দেখে চুরি হওয়া গরুটি সনাক্ত করেন। শুক্রবার দুপুরে খাদিমনগরের বাইসটিলায় এ ঘটনা ঘটে। জানা যায় বিমানবন্দর থানার বাছাটিলা গ্রামের রাকেশ দেবনাথের ছেলে রঞ্জন দেবনাথ তার একটি গরুকে শুক্রবার দুপুরে বাড়ির পাশের জমিতে ঘাস খেতে দিয়ে আসেন দুপুরের গরু আনতে গিয়ে দেখা যায়, যথাস্থানে গরুটি নেই। এসময় একটি ছেলে তাকে জানায়, একজন লোক গরুটি নিয়ে পাশের গ্রামের দিকে ছুটে যায়। প্রায় দুই ঘন্টা খোজা খোজির পর রঞ্জন দেবনাথ খবর পান পাশের গ্রামের বাইসটিলা এলাকায় মন্নাসের দোকানের পাশে একটি গরু জবাই করে মাংস বিক্রি হ্েচ্ছ। রঞ্জন দেবও তার সহযোগীরা ঐ গ্রামে গিয়ে জবাইকৃত গরুর চামড়া দেখে গরুটি তাদের নিশ্চিত হন, মাংস বিক্রেতা শাহজাহান ও সুজনকে জিজ্ঞেসাবাদ করেন। শাহজাহান ও সুজন তাদেরকে জানান, ৩নং খাদিমনগর ইউনিয়নের মেম্বার মো
ঃ তেরা মিয়ার স্বাক্ষরিত রশিদের মাধ্যমে তারা গরুটি নুর ইসলামের কাছ থেকে ২৫হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেছেন। রশিদের প্রেক্ষিতে গরু ক্রয় করে তারা জবাই করেছেন বলে দাবী করেন। পরে রঞ্জন দেবনাথ বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মামলার নং-১৭, ২৪/০৫/১৪ মামলার প্রেক্ষিতে গতকাল দুপুরে প্রকৃত গরু চুর নুর ইসলাম (২৯) কে আটক করে পুলিশ আটক কৃত ব্যাক্তি বাইসটিলা গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে, এব্যাপারে এস.আই রফিক জানান নুর ইসলাম সে অতীতেও এলাকার অনেক গরু ছাগল চুরি করেছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। সে এই কথা স্বীকার করেছে মামলার প্রেক্ষিতে নুর ইসলামকে আটক করা হয়েছে। এব্যাপারে ৩নং খাদিমনগর ইউনিয়নের মেম্বার গরু বিক্রির রশিদ দেওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আপোষ মিমাংশা করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। কিন্তু ঘটনার সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।